নয়া দিল্লি : নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই দীপাবলির রাতে (Diwali Night) রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে দেদার বাজি (Firecrackers) ফাটাল একাংশ মানুষ। আর তার ফলে, আজ সকালে দিল্লির বাতাসের মান চলে গেল 'Very Poor', অর্থাৎ 'খুব খারাপ' ক্যাটেগরিতে।
গতকাল রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বাজি ফাটানোর হিড়িক। এরপর আজ সকালে ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ে রাজধানীর আকাশ। আজ দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (Air Quality Index) রয়েছে ৩২৩।
লাগাতার বাজি পোড়ানোর জের-
লাগাতার বাজি পোড়ানোর জেরে বাতাসের গুণগত মান পড়েছে দিল্লির পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম (Gurugram), নয়ডা (Noida) ও ফরিদাবাদেও (Faridabad)। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (Central Pollution Control Board) সমীক্ষা বলছে, সোমবার শহরের বাতাসের গুণগত সূচক ছিল ৩১২। যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সাত বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক। এর আগে ২০১৮ সালে দীপাবলিতে দিল্লির একিউআই ছিল ২৮১। গত বছরে যা ছিল ৩৮২, ২০২০ সালে ৪১৪ এবং ২০১৯ সালে ৩৩৭।
শূন্য থেকে ৫০ -এর মধ্যে AQI থাকলে সেটা Good বা ভাল ক্যাটেগরিতে পড়ে। ৫১ থেকে ১০০ Satisfactory বা সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ Moderate বা মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ Poor বা খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ Very Poor বা খুব খারাপ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ Seevere বা মারাত্মক।
দিল্লি সরকার পরিবেশগত কারণ এবং এর সাথে সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই দীপাবলিতে বাজি তৈরি, সংরক্ষণ, বিক্রয় এবং ফাটানো নিষিদ্ধ করেছিল। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী ধরা পড়লে জরিমানা এবং ছয় মাসের জেল হবে বলে জানিয়েছিল সরকার। গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্টও দূষণের কথা মাথায় রেখে দিল্লিতে আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা তোলেনি।
দিল্লি সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সবুজ হলেও কী করে আতসবাজিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব ? আপনি কি দিল্লির দূষণ দেখেছেন ?
প্রসঙ্গত, দূষণের উদ্বেগজনক মাত্রার কারণে গত দীপাবলিতেও বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আপ সরকার।
আরও পড়ুন ; গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, দুর্যোগ কেটেছে দক্ষিণবঙ্গে?