নয়া দিল্লি : এখনও পর্যন্ত কোনও লুক আউট নোটিস (Look Out Notice) জারি করা হয়নি মণীশ শিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বিরুদ্ধে। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল সিবিআই। দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতির অভিযোগে ট্যুইটারে নোটিস জারির অভিযোগ করেন শিসোদিয়া। সেই অভিযোগই নস্যাৎ করল কেন্দ্রীয় এই সংস্থা।
সিবিআই আধিকারিকরা বলছেন, একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারির প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন না। কারণ, সরকারকে না জানিয়ে তাঁরা দেশ ছাড়তে পারেন না। এখন আপাতত বিভিন্ন নথি খুঁতিয়ে দেখার কাজ চলছে। সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হচ্ছে।
মণীশের বাড়িতে তল্লাশি-
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ। তার পাশাপাশি আবগারি দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলান। মদের উপর শুল্ক নীতি-দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। শুক্রবার মণীশের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানো হয় সাত রাজ্যের আরও ৩১ জায়গায়। সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ অভিযুক্তদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে নাম রয়েছে মণীশের। ১১ পাতার রিপোর্টে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্র এবং ভুয়ো নথি তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; তল্লাশির পরদিনই লুকআউট নোটিস, ‘এ কেমন নাটক’! মোদিকে নিশানা সিসোদিয়ার
তার পরই রবিবার মণীশের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়েছে বলে খবর ছড়ায়। লুক আউট সার্কুলার জারির অর্থ, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কোথাও কোনও নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে তাঁকে আটক করা হবে সঙ্গে সঙ্গে।
তাতেই কেন্দ্রকে একহাত নেন মণীশ। ট্যুইটারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেন তিনি। লেখেন, 'আপনার সমস্ত অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি। এক পয়সার হেরফের ধরা পড়েনি। এখন আবার লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়েছে যে, মণীশ শিসোদিয়াকে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কেমন নাটক মোদিজি? আমি তো প্রকাশ্যে দিল্লিতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বলুন, কোথায় আসতে হবে? আপনি আমাকে খুঁজে পাচ্ছেন না?'
সিবিআই-এর দাবি, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই শিসোদিয়া এবং দিল্লি সরকারের অভিযুক্ত আধিকারিকরা আবগারি নীতি ২০২১-'২২ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেন্ডার পেয়ে যাওয়ার পর অন্যায় ভাবে কিছু লোককে সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল তাঁদের।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিসোদিয়া এবং দিল্লি সরকার। আমেরিকার প্রথম সারির দৈনিকে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য নীতি প্রশংসিত হওয়ার পর, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এবং নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিসোদিয়া।