দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণা হতেই মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন পড়ল সোমবার। ৬দিনের লকডাউনের আগে মদের স্টক গুছিয়ে রাখতে ব্যস্ত হয়ে উঠল রাজধানী। যার মধ্যে এক মহিলার পরামর্শে হাসির রোল উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনতে আগেই উইকেন্ড কার্ফু ঘোষণা করেছিল দিল্লি সরকার। মনে করা হচ্ছিল, রবিবারের পরও দিল্লিতে জারি থাকবে সেই কার্ফু। এদিন সেই পথেই হাঁটেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার রাত ১০টা থেকে ২৬ এপ্রিল সকাল ৫টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে। 


 

দেখা যায়, দিল্লিতে এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন এলাকায় মদের দোকানে বিশাল লাইন পড়ে যায়। শিবপুরির গীতা কলোনির এরকমই একটি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এক মহিলা। সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ''করোনার ইনজেকশন কাজ করবে না। কোভিড রুখতে তার শরীরে মদই কাজে আসবে। ৩৫ বছর ধরে আমি মদ খেয়ে আসছি। আমাকে কখনও ডাক্তারের কাছে যেতে হয়নি। এক পেগ মদ আমার কাছে মেডিসিনের কাজ করে। প্রতিদিন আমি এক পেগ করে খাই।''

এখানেই শেষ নয়। দিল্লির মিনি লকডাউনের বিষয়ে প্রশ্ন করায় ওই মহিলা বলেন, ''লকডাউন কেবল মদ্যপদের ক্ষতি করবে। এই সময় লকডাউনে মদের দোকান খুলে দেওয়া উচিত। তাহলে ডাক্তারদের কাছে যেতে হবে না। সবাই মদ খেয়েই নিজেদের বাঁচাতে পারবেন।''

স্বাভাবিকভাবেই করোনাকালে মহিলার এই উক্তি নিয়ে হাসির রোল উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই তার বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোমবারই দিল্লিতে ৬দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ''এই সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রযোজন নেই। দিল্লির সরকার তাদের দেখভাল করবে।'' এদিন লকডাউন ঘোষণা হলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিধিনিষেধের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা পড়বে না। মেডিক্যাল ও খাবারের পরিষেবা চালু থাকবে। বিয়েতে কেবল ৫০ জনের জমায়েত গ্রাহ্য করা হবে।তার জন্য আলাদা পাস নিতে হবে সরকারের থেকে।