নয়াদিল্লি: সারা দেশ সহ রাজধানীতে ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে এবার দিল্লির একাধিক স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ করল নর্দান রেলওয়ে।


রেলের ডিআরএম এর পক্ষ থেকে এ দিন এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। যারা মূল উদ্দেশ্য, স্টেশন চত্বরে সীমিত সংখ্যক যাত্রী প্রবেশ। এদিন টুইটারে ডিআরএম লিখেছে, কোভিড ১৯- এর সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য নর্দান রেলওয়ে দিল্লি ডিভিশনে টিকিট বিক্রি করা বন্ধ হল। পরবর্তী নির্দেশিকা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত লাগু থাকবে।


পাশাপাশি নর্দান রেলওয়ে এর পক্ষ থেকে নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে বিহার পর্যন্ত বিশেষ ৪ ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যা মূলত বিহার বা সংলগ্ন অঞ্চলের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আজ রাত থেকে আগামী ৬ দিন দিল্লিতে লকডাউন, এই পর্বে যাতে পর্যায়ে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেন তাই এই বন্দোবস্ত।


ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা। দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এই আবহে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন খোদ চিকিৎসক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ঢেউয়ের থেকে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের হার আরও মারাত্মক। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের দিনের পরিসংখ্যানকে। সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত রূপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।


এই মুহূর্তে রাজধানীতে প্রতি তিনটি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে একটিতে পজিটিভ রেজাল্ট আসছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে সপ্তাহান্তে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছিল দিল্লি সরকারের তরফে। কিন্তু, তাতেও শহরের কিছু জায়গায় একাংশ মানুষ করোনাবিধি লঙ্ঘন করছিল। কাজেই, নিয়মের কড়াকড়ির প্রয়োজন বোধ করে সরকার। আর তাই, পরিস্থিতি পুরোপুরি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগে বিশেষ পদক্ষেপ দিল্লি সরকারের। আজ রাত থেকে সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে রাজধানীতে। চলবে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত।


আজ সকালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আজ রাতে থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে দিল্লিতে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি অফিসের কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে করতে হবে। তবে সরকারি অফিস এবং অত্যাবশ্যকীয় সেক্টর খোলা থাকবে।