নয়াদিল্লি : দিল্লিতে মেট্রো থেকে বাস - সবেতেই এখন ৫০ শতাংশ যাত্রীকে ওঠানোর অনুমতি। আর তার জেরে লাগামছাড়া ভিড় মেট্রো স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ডে। দিল্লি মেট্রোতে (Delhi Metro) এখন যত সংখ্যক বসার আসন, তার অর্ধেক যাত্রীকে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দাঁড়িয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না । এর জেরে নাভিশ্বাস উঠছে নিত্যযাত্রীদের। 


চারিদিকে ওমিক্রন আতঙ্ক (Omicron Panic)। চড়ছে করোনাগ্রাফ। কিন্তু কে বলবে এই দৃশ্য দেখে। লাইন যেন শেষই হতে চাইছে না। লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে এক যাত্রী বললেন, “আমি এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সারিতে দাঁড়িয়ে আছি। এখন, অফিসে যেতে দেরি হয়ে গিয়েছে। মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে ভাল হত।”




কয়েকজন যাত্রী বলেছেন, অফিসে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাড়ি থেকে কাজ করলে (work from home) বেতনের অর্ধেকই পাওয়া যায়। কেউ আবার বলছেন, অফিসে পৌঁছতে যা সময় লাগে, সেই সময় তো মেট্রোর লাইনে দাঁড়িয়েই কেটে যাচ্ছে। কেফ জানেন না কখন অফিস পৌঁছবেন। সেই টেনশনে শিকেয় উঠেছে করোনা-আতঙ্ক। কোথাও প্রশ্নের মুখে দূরত্ব বিধি। 

নয়ডার তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের এক কর্মীও বলে ফেললেন, করোনা আবহে এক একটি ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা পঞ্চাশ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ায় মেট্রোর জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের অবস্থা সঙ্গীন। কেউ কেউ তো হতাশ হয়ে বলেই ফেলছেন, এভাবে লাইনে দাঁড়ানোর থেকে অর্ধেক বেতনে বাড়ি থেকে কাজ করাই ভাল। 




বাসের চিত্রটাও একইরকম। বাসেও তোলা যাবে ৫০ শতাংশ যাত্রীকেই। তাই স্ট্যান্ডে অনন্ত প্রতীক্ষা। তার ফলে সেখানেই থিকথিক করছে মানুষের মাথা। প্রশ্নের মুখে করোনা বিধি।