নয়াদিল্লি: দিল্লির রোহিণী আদালতে গ্যাংওয়ার। গুলিতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু।আততায়ীরা আইনজীবীর পোশাকে এসেছিল।দুষ্কৃতীদের নিশানায় ছিল গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগী। আদালতে পেশ করার জন্য গোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল। গুলিতে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। গুলিবৃষ্টির পিছনে থাকতে পারে গোগীর বিরোধী টিল্লু গ্যাং, খবর পুলিশসূত্রে।
আদালতে বিচারকের ১ মিটার দূরে চলেছে গুলি। ওই সময়ে বিচারক গগনদীপ সিংহের এজলাসে চলছিল শুনানি।আদালতে এখনও পড়ে রয়েছে দুষ্কৃতীদের দেহ।পাল্টা পুলিশের গুলিতে ২ আততায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আদালতের রুম নম্বর ২০৭-এর মধ্যে এই গ্যাংওয়ার হয় বলে জানা গেছে। পাল্টা পুলিশের গুলিতে হামলাকারীদের মৃত্যু হয়েছে। শ্যুট আউটে তিন-চারজন জখমও হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এনকাউন্টারে দিল্লু গ্যাংয়ের দুই দুষ্কৃতী নিহত হয়েছে। এই দুই দুষ্কৃতী আইনজীবীর পোশাকে রোহিনী আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েছিল। তারা জিতেন্দ্র গোগীকে গুলি করে। দিল্ল গ্যাংয়ের এই দুই দুষ্কৃতীর পরিচয় যাচাই করে দেখছে পুলিশ। জানা গেছে, এই গোষ্ঠীর মধ্যে পুরানো শত্রুতা ছিল। রাজধানীতে খাস আদালত চত্বরে এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেছেন, গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীকে পুলিশ দুদিন আগে গ্রেফতার করেছিল। আজ তাকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আইনজীবীর পোশাকে দুষ্কৃতীরা আচমকা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জিতেন্দ্র গোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুষ্কৃতীদের জানা ছিল না যে, জিতেন্দ্র গোগীর সঙ্গে স্পেশ্যাল সেলের একটি দল ছিল। সেই দল তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে দুই দুষ্কৃতীকে খতম করে।
জিতেন্দ্র গোগী দিল্লি সবচেয়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের মধ্যে অন্যতম। তাকে ধরতে পারলে চার লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। হরিয়ানা পুলিশ তাকে ধরতে আড়াই লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। দিল্লির নরেলা এলাকায় এক স্থানীয় নেতা বীরেন্দ্র মানকে হত্যায় জিতেন্দ্র ও তার গোষ্ঠীর হাত ছিল। জিতেন্দ্র গোগীর বিরুদ্ধে হরিয়ানার বিখ্যাত গায়িকা হর্ষিতা দাহিয়াকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।