ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে চলতি রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে ক্রমেই আরও কোণঠাসা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরইমধ্যে বেহাল আর্থিক দশার মধ্যে মাথা তুলেছে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনে কার্যত কিছুই করতে পারছে না ইমরান খানের সরকার। শুধু মাত্র কাগুজে বয়ানেই দায় সারা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সরকারের এই সব বিবৃতি হাসি-ঠাট্টার শিকার হচ্ছে। ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিরোধীরা। মুদ্রাস্ফীতি, মূল্য়বৃদ্ধির ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণের কোনও জবাবই দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিরোধীরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে।
অনাস্থা প্রস্তাব আনায় বিরোধীদের আক্রমণ করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রবিবার বলেছেন, আলু-টম্যাটোর মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আলু, টম্যাটোর দাম জানতে রাজনীতিতে যোগ দিইনি। দেশের তরুণ প্রজন্মের স্বার্থে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম।
ইমরান খানের এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা কতটা গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, এক লিটার দুধের দাম বেড়ে হয়েছে দেড়শো টাকা। এক ডজন ডিম কিনতে খরচ হচ্ছে ১৪১ টাকা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক-পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধি পরস্থিতির হাল হকিকত-
- ১০ কিলো আটা- ৭২০ টাকা
- এক লিটার দুধ-১৫০ টাকা
- এক কিলো মুরগীর মাংস-৩৪০ টাকা
- এক কেজি চিনি-১০০ টাকা
- এক ডজন ডিম-১৪১ টাকা
- এক কেজি টম্যাটো-৮০ টাকা
- এক কেজি আলু-৫৫ টাকা
- এক কেজি পেঁয়াজ-৫২ টাকা
এই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে যে, মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে থাকতে না পারলে কী করতে ক্ষমতায় রয়েছেন ইমরান? সবমিলিয়ে ঘরে বাইরে আক্রমণের মুখে পড়েছেন ইমরান। বিরোধীরা তো বটেই, এমনকি জানা গিয়েছে, সেনাও বিপক্ষে চলে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতি পিঠ বাঁচাতে অতি চেনা একটি ইস্যুকে ঢাল করার চেষ্টা করছেন। আর তা হল-উগ্র ভারত বিরোধিতা। ইউক্রেনে চলতি সংকটের উল্লেখ করলেও তাঁর মুখে উঠে আসে ভারতের প্রসঙ্গ। ররিবার তিনি বলেছেন, পঞ্জাব প্রদেশে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র পড়ার ঘটনায় তিনি জবাব দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সংযম দেখিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ একটি অস্ত্রহীন ভারতীয় সুপারসোনিক মিসাইল পাক এলাকায় চলে গিয়েছিল। যদিও এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।