নয়াদিল্লি: ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিগত বছরগুলি থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা জোরাল করতে যে অভিযান চলছে আজ তা এক নয়া পর্বে প্রবেশ করল। আজ এক মিশনের সূচনা হল, যাতে ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের শক্তি রয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘আয়ুষ্মান ভারতে দেশের ফায়দা হবে। আরোগ্য সেতু সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। চিকিত্সা নিয়ে গরিব-মধ্যবিত্তদের যাবতীয় হয়রানি এর ফলে দূর হয়েছে। ডিজিটাল হেলথ কার্ডে চিকিত্সকদের রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হবে। সবাই পাবেন হেলথ আইডি। এমন এক হেলথ মডেলে ভারত কাজ করছে, যাতে স্বাস্থ্যের খরচ কমে।
তিনি বলেছেন, ‘ দেশে বেড়েছে আয়ুর্বেদ চিকিত্সার গুরুত্ব। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে চালু হয়েছে নতুন স্বাস্থ্য-নীতি। প্রতি ৩টি লোকসভা আসনপিছু একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জেলা ও ব্লক হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। হাসপাতালে বেড়েছে চিকিত্সক ও প্যারা-মেডিক্যাল কর্মীর সংখ্যা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওষুধের খরচ কমাতে জরুরি ওষুধ, ডায়ালিসিসের খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। ৮ হাজারের বেশি জন ওষুধি কেন্দ্র গরিবদের সহায়তা দিচ্ছে। মাসে হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ বাঁচছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে, দেশে পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ডিজিটাল মিশন দেশের সমস্ত হাসপাতালগুলির ডিজিটাল হেলথ সলিউশনকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্পে সমস্ত দেশবাসী ডিজিটাল হেল্থ আইডি পাবেন এবং প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা দেশে আজ আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন শুরু হচ্ছে, এতে তিনি অত্যন্ত খুশি। এই মিশন দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। তিনি বলেছেন, ১৩০ কোটি আধার নম্বর, ১১৮ কোটি মোবাইল গ্রাহক ও প্রায় ৮০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ৪৩ কোটি জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এত বড় কানেক্টেড নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে কোথাও নেই। এই ডিজিটাল পরিকাঠামো রেশন থেকে প্রশাসন পর্যন্ত দ্রুত ও দক্ষভাবে সাধারণ ভারতীয়দের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।