নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন NDA-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (( Draupadi Murmu ) )। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ছিলেন সেখানে, ছিলেন জে পি নড্ডা, নীতিন গডকড়িও। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন দ্রৌপদী মুর্মুর। দ্রৌপদী ফোন করলেন সনিয়া, শরদ পাওয়ারকেও। ফোন করে রাষ্ট্রপতি ভোটে তাঁর পক্ষে সমর্থন চাইলেন দ্রৌপদী।
দ্রৌপদী বনাম যশবন্ত
রাইসিনার রেসে দ্রৌপদী মুর্মুর ( Draupadi Murmu ) সঙ্গে লড়াই যশবন্ত সিন্হার (Yashwant Sinha) । প্রাক্তন বিজেপি নেতার সঙ্গে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর লড়াই। অবশেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির প্রার্থী যশবন্ত সিন্হাকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই সূত্রের খবর। এর আগে NDA তাদের প্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণার পরই তাঁকে জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। NDA-এর প্রার্থীকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হল, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধী দলগুলি। অবশেষে আজ যশবন্ত সিন্হাকে জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?
২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির তরফে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ অবধি ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি। বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০০২ থেকে ২০০৯ অবধি বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ অবধি ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা বিজেপি সভাপতি করা হয় দ্রৌপদী মুর্মুকে। উল্লেখ্য, এর আগে, দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ অবধি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন।