নয়াদিল্লি: সামনেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Five State Assembly Elections)। তার আগে বুধফেরত সমীক্ষায় (Exit Polls) নিষেধাজ্ঞা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ভোটমুখী রাজ্যগুলিকে নিয়ে কোনও রকম বুথফেরত সমীক্ষা এবং তার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। নির্দেশ অমান্য করলে কমপক্ষে দু’বছরের জেল এবং জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে বুথফেরত সমীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়। তাতে বলা হয়, সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল-সহ কোনও মাধ্যমেই বুথফেরত সমীক্ষা এবং তার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। সেই নিয়ে চালানো যাবে না কোনও রকম প্রচারও। ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা থেকে ৭ মার্চ সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত সাত দফায় বিধানসভা নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Elections 2022)। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দু’দফায় নির্বাচন মণিপুরে (Manipur Assembly Elections 2022)। পাঞ্জাব (Punjab Polls 2022), গোয়া (Goa Polls 2022) এবং উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand Polls 2022) ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দফাতেই হবে ভোটগ্রহণ। সব রাজ্যের ফলপ্রকাশ ১০ মার্চ।
শনিবার কমিশনের নির্দেশিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গেল। করোনা পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে কমিশন। কোভিড বিধি মেনে, শান্তিপূর্ণ এবং স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াই তাদের লক্ষ্য। তার মধ্যেও বেশি সংখ্যক মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করছে কমিশন।
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনেই সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে এই মুহূর্তে। বিজেপি-কে কোণঠাসা করতে সেখানে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন অখিলেশ যাদব। বিজেপি থেকে হেভিওয়েট বেশ কিছু নেতা ভাঙিয়ে আনতেও সফল হয়েছেন তিনি। আবার তাঁকে জব্দ করতে সরাসরি যাদব পরিবারেই থাবা বসিয়েছে বিজেপি। অখিলেশের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অপর্ণা যাদব গেরুয়া শিবিরে গিয়ে উঠেছেন। বিজেপি-র হয়ে এ দিন সেখানে প্রচারে যান অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের ভোট উত্তরপ্রদেশে মাফিয়া রাজকে ক্ষমতায় আনতে পারে, আবার রাজ্যকে মাফিয়ামুক্তও করতে পারে।’’