নয়া দিল্লি : ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সহজেই পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার একথা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organisation)। তবে, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ওমিক্রনে। WHO-এর প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসস(Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, ডেল্টার থেকে অপেক্ষাকৃত মৃদু উপসর্গ হচ্ছে ওমিক্রনে, তার প্রমাণ রয়েছে।


এর পাশাপাশি তিনি দেশগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি কেমন আচরণ করছে তা জানার জন্য নজরদারি চালানো উচিত। এই মুহূর্তে বিশ্বের ৫৭টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, এই সংখ্যাটা বাড়বে। ওমিক্রনের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, বহু সংখ্যক মিউটেশনে বোঝা যাচ্ছে, করোনা অতিমারীতে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট। যে কোনও ধরনের আত্মতুষ্টি প্রাণহানির কারণ হয়ে উঠতে পারে।


আরও পড়ুন ; সুস্থ দেশের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি, আপাতত ৭ দিনের কোয়ারেন্টিনে


এদিকে ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়া ৩৩ বছর বয়সী সেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মহারাষ্ট্রের (maharastra) এই ব্যক্তিই দেশের প্রথম ওমিক্রন (omicron) আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে সম্প্রতি। তাঁকে হাসপাতাল থেকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ৭ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে সেই ব্যক্তিকে। 


এদিকে, এশিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পর ইউরোপেও (Europe) প্রবল গতিতে বাড়ছে করোনা। উদ্বেগ বাড়ল অন্য তথ্যে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World HEalth Organization) তরফে জানানো হয়েছে ইউরোপের দেশগুলি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে শিশুদের সংক্রমণ বৃদ্ধি। হু (WHO)- জানিয়েছে, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং সংক্রমণের সর্বোচ্চ হারের জন্য দায়ী এই বয়সের শিশুরাই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের রিজিওনাল ডিরেক্টর ড: হান্স ক্লুজ যুক্তি দেন, এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে (Omicron) মৃত্যুর হার আগের থেকে অনেক কম।