মুম্বই: দেশের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়া ৩৩ বছর বয়সী সেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মহারাষ্ট্রের (maharastra) এই ব্যক্তিই দেশের প্রথম ওমিক্রন (omicron) আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে সম্প্রতি। তাঁকে হাসপাতাল থেকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ৭ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে সেই ব্যক্তিকে। 


এদিকে, এশিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পর ইউরোপেও (Europe) প্রবল গতিতে বাড়ছে করোনা। উদ্বেগ বাড়ল অন্য তথ্যে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World HEalth Organization) তরফে জানান হয়েছে ইউরোপের দেশগুলি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে শিশুদের সংক্রমণ বৃদ্ধি। হু (WHO)- জানিয়েছে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং সংক্রমণের সর্বোচ্চ হারের জন্য দায়ী এই বয়সের শিশুরাই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের রিজিওনাল ডিরেক্টর ড: হান্স ক্লুজ যুক্তি দেন, এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে (Omicron) মৃত্যুর হার আগের থেকে অনেক কম। তবে তিনি বলেছিলেন যে মধ্য এশিয়া সহ ৫৩টি অঞ্চলে গত দুই মাসে করোনাভাইরাসের কেস এবং মৃত্যু দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে হু ইউরোপের-এর  ইউরোপের সদর দফতর থেকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,"ডেল্টা ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া জুড়ে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তবে ভ্যাকসিন অবশ্য এই রোগ রুখে মৃত্যু কমাতে কার্যকর হয়েছে।" যদিও তিনি এও সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এখনও দেখা বাকি আছে যে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রমণ বাড়বে। আরও গুরুতরও হতে পারে। ইউরোপে শিশুদের মধ্যে আক্রান্ত বাড়ছে অনেকটাই। কিছু জায়গায় গড় জনসংখ্যার তুলনায় অল্পবয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের এর ঘটনা দুই থেকে তিনগুণ বেশি।


এদিকে, রেনবো চিল্ড্রেন্স হাসপাতালের চিকিৎসক, ড: নীতিন ভার্মা বলেন, ''শিশুরা দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন চলে এসেছে। তা ছড়িয়েও যাচ্ছে দ্রুত। এই পরিস্থিতিতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হতে পারে। তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।''