নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে  কেন্দ্রীয় সরকার।  গুরু নানকের জন্মদিনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।  এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার খেতে ফিরে আসুন। 

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ট্যুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লিখলেন, ‘প্রত্যেক সংগ্রামী কৃষককে আমার অভিনন্দন, এই আন্দোলনকারী কৃষকরা তাঁদের প্রতি হওয়া কোনও নিষ্ঠুরতাতেই দমেননি, এটা আপনাদের জয়, এই লড়াইয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের জন্য রইল গভীর সমবেদনা’






তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের ট্যুইট,  ঔদ্ধত্যের পরাজয়।  গর্বের চূড়া থেকে হাঁটু ভেঙে বসা।  


সিপিএমের ট্যুইট, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ও লক্ষ লক্ষ লড়াকু কৃষককে অভিনন্দন।





 সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার নেতৃত্বাধীন কৃষকদের আন্দোলনের পক্ষে বিরাট জয়।  মোদি সরকারের সব ঘৃণ্য কৌশল পরাজিত হয়েছে। স্বৈরতান্ত্রিক শাসক বাধ্য হয়েছে ৩টি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে।  


ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ট্যুইটে জানিয়েছেন, এখনই কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।  সরকার যেদিন সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে, সেদিনের জন্য অপেক্ষা করা হবে।  







২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।  তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা।  হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়।  কংগ্রেস সহ বিরোধীরাও সরব হয় ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে।  আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন।  তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট ওই তিনটি কৃষি আইন কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।