নয়াদিল্লি: আজই প্রত্যাহার করা হতে পারে ১৪ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে পরিচালিত এই আন্দোলন আজ দুপুরে একটি বৈঠকের পর প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় খসড়া প্রস্তাব প্যানেল গ্রহণ করেছে বলে খবর। এরপরই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


কেন্দ্রের দ্বিতীয় খসড়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) সংক্রান্ত আশ্বাস। সেইসঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস। 


কমিটির যে এক সদস্য এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন, সেই অশোক ধাওয়ালে বলেছেন, তাঁরা সরকারের কাছ থেকে একটি সংশোধিত খসড়া প্রস্তাব পেয়েছেন, যাতে আন্দোলনকারীদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ধাওয়ালে বলেছেন, আমরা প্রস্তাবের চূড়ান্ত প্রতিলিপি বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা নাগাদ পাব। এরপর সিঙ্ঘুতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতাদের বৈঠকের পর আমরা আন্দোলনের তীব্রতা কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। 
কেন্দ্র ফসলের অবশেষ পোড়ানোর ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাও প্রত্যাহারের আশ্বাস কেন্দ্র দিয়েছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুত সংশোধিত বিল ও আন্দোলনের সময় নিহত কৃষকদের আত্মীয়দের পাঁচ লক্ষ টাকা ও চাকরি দেওয়ার ব্যাপারেও রাজি হয়েছে কেন্দ্র। 


সংযুক্ত মোর্চার ওই কমিটির এক সদস্য বলেছেন, কৃষক আন্দোলনের সময় ও ফসলের অবশেষ পোড়ানোর ঘটনায় সরকার সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হওয়ার পর সহমতে পৌঁছনো যায়। সরকার আমাদের সংশোধিত বিদ্যুৎ বিল পেশের ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেছে। হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকারও পঞ্জাব সরকারের মতো মৃত কৃষকদের আত্মীয়দের পাঁচ লক্ষ টাকা ও চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞ, কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের পাশাপাশি এমএসপি কমিটিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতাদের সামিল করার ব্যাপারেও সরকার রাজি হয়েছে।


উল্লেখ্য, তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি সেই তিন আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে।