নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুমে উপচে পড়েছে সরকারি কোষাগারও। কারণ অক্টোবর মাসে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST Revenue) থেকে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ যা আয় ছিল কেন্দ্রের, এ বারের আয়ের পরিমাণ তার চেয়ে ১৬.৬ শতাংশ বেশি। আর দেশে জিএসটি চালুর পর থেকে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় কেন্দ্রের (Finance Ministry)।
জিএসটি থেকে ফের রেকর্ড আয় কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে, সেই অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে অভ্যন্তরীণ লেনদেন এবং সামগ্রীর আমদানি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তার জেরেই চলতি বছরের এপ্রিলের পর, জিএসটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক আয় ঘরে তুলেছে কেন্দ্র। আমদানিকৃত সামগ্রীর উপর শুল্ক থেকে ঠিক কত আয় হয়েছে, তা যদিও খোলসা করা হয়নি।
তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে আমদানিকৃত সামগ্রী থেকে শুল্কবাবদ আয় বেড়েছে ১৩.০২ শতাংশ। সেস বাবদ আয় বেড়েছে ১৮.০২ শতাংশ। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই নিয়ে নয় মাসে এবং পর প আট মাসে জিএসটি বাবদ মাসিক আয় ১.৪০ লক্ষের কোটা পেরোল’।
সেপ্টেম্বরের লেনদেনের প্রতিফলনই অক্টোবর মাসের উপর পড়ে। সেই নিরিখে ৮.৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে শুধুমাত্র ই-ওয়ে বিল মেটানোয়, তার আগের মাসে যা ছিল ৭.৭ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি আয়বৃদ্ধি হয়েছে হরিয়ানায়, ৩৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক, ৩৩ শতাংশ এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল, ২৯ শতাংশ। চতুর্থ স্থানাধিকারী বাংলার হার ২৬ শতাংশ, পঞ্চম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু, ২৫ শতাংশ। আয়ের নিরিখে জাতীয় গড়ের চেয়েও কম হার গুজরাত (১১ শতাংশ), তেলঙ্গানা (১১ শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (১০ শতাংশ), রাজস্থান (১০ শতাংশ) এবং উত্তরপ্রদেশে (১৬ শতাংশ)।
উৎসবের মরসুমে জিএসটি থেকে বিপুল আয়
এর পাশাপাশি, বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেগেটিভে রয়েছে ছয় রাজ্য। ছত্তীশগড় (-৩ শতাংশ), অসম (-১৩ শতাংশ), মিজোরাম ও মণিপুর (-২৩ শতাংশ করে), বিহার (-১ শতাংশ)। জম্মু ও কাশ্মীরের আয়ে ৩৪ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। লাদাখে যদিও ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।