গুয়াহাটি: বিপর্যয় যতই হোক, ভিন রাজ্যের অতিথিদের জন্য অসমের (assam) দরজা খোলা। আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (himanta biswasarma)। তবে এদিন কবুল করে নিলেন, এখনও অসমের বন্যাদুর্গতদের (flood) অনেকের কাছেই পৌঁছতে পারেনি তাঁর প্রশাসন। সঙ্গে সংযোজন, উদ্ধার ও ত্রাণের (relief) কাজ যাতে আরও দ্রুত করা হয় সে মর্মে সমস্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কী পরিস্থিতি এখন:
প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে জলের তলায় শিলচর। আজ সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন হিমন্ত। বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'দুর্ভোগ কমাতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা।' এদিকে বন্যা ও ধসের জোড়া চাপে মৃত আরও বেড়েছে। সরকারি হিসেবে প্রাণ মৃতের সংখ্যা ১২১। জলের ধাক্কায় ২৭ জেলার পঁচিশ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভুগছেন এখনও। যদিও প্রশাসনের দাবি, শনিবারের তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে রবিবার।
জারি উদ্ধারকাজ...
গত ২১ জুন থেকেই টানা ত্রাণের কাজ করছে বায়ুসেনা। শনিবারও আকাশপথে প্রায় ৯৬ টন ত্রাণসামগ্রী উড়িয়ে নিয়ে যায় তারা। অসমের পাশাপাশি মেঘালয়ের বাসিন্দাদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। শেষ ৪ দিনে মোট ২০৩ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে উড়েছে বায়ুসেনা। পাল্লা দিয়ে কাজ করছে রাজ্যে ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বন্যার ছবিটা কোথায় কতটা খারাপ জানতে দুটো ড্রোন শুধু শিলচরের আকাশপথেই নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু আরও তৎপরতা যে জরুরি, সেটা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকারোক্তির পর স্পষ্ট। নিজের রাজ্যে যখন এরকম পরিস্থিতি তখন কোন যুক্তিতে ভিন রাজ্যের রাজনীতিবিদদের অসমে আনার দিকে নজর দিচ্ছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। সঙ্গে পরামর্শ, মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার খেলায় না মেতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নজর দিন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হিমন্ত জানিয়েছিলেন, তাঁর রাজ্য়ে সকলকে স্বাগত। এমনকী চাইলে উদ্ধব ঠাকরেও আসতে পারেন। আজ তাঁরই গলায় এমন স্বীকারোক্তি?
নতুন প্রশ্ন উঠছেই।
আরও পড়ুন:'মানবাধিকার রক্ষা কখনও অপরাধ হতে পারে না', তিস্তার মুক্তির দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকের