নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হোক (Presidential Election 2022) বা ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, বিরোধী ঐক্যে বাংলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে।  বুধবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে বুধবার দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকও তেমনই জানান দিচ্ছে। তার মধ্যেই আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলার গুরুত্ব আরও একধাপ বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা মহাত্মা গাঁধীর পৌত্র গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকেই (Gopalkrishna Gandhi) পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করার দাবি উঠছে বিরোধী শিবিরে।   


গোপালকৃষ্ণকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে রাজি হবেন কি!


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিরোধীদের তরফে ইতিমধ্যেই গোপালকৃষ্ণর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা। সকলের অনুরোধ মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে তাঁকে। এর আগে, ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য তাঁর নামে একমত ছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু নির্বাচনে সে বার বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে পরাজিত হন গোপালকৃষ্ণ। এ বার সরাসরি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য বিরোধী শিবিরের নেতারা ফের তাঁর নাম নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: Reserve Bank of India: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ডে দুই শিল্পপতি, কেন্দ্রের অনুমোদনে নিযুক্তি


এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিরোধীদের প্রস্তাব ভাবনা-চিন্তা করে দেখতে সময় চেয়েছেন গোপালকৃষ্ণ। বুধবারই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। রাজি হলে, সর্বসম্মতিতে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হবেন গোপালকৃষ্ণ। কারণ এর আগে উপরাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। 


২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন ৭৭ বছরের গোপালকৃষ্ণ। দীর্ঘ দিন আমলাও ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে ভারতের হাইকমিশনারও নিযুক্ত ছিলেন।  এর আগে, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার সুপারিশ করেছিলেন বিরোধী শিবিরের কিছু নেতা। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজি হননি পওয়ার।


শাসক-বিরোধী কেউই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি


আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটগণনা ২১ জুলাই। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। তার আগেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিজেপি, কোনও দলই প্রার্থী হিসেবে কারও নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি।