নয়াদিল্লি: সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পর প্রয়াত হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগমোহন। গতকাল দিল্লিতে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩।


জগমোহনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় ট্যুইটারে লিখেছেন, জগমোহন জীর প্রয়াণ দেশের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম প্রশাসক ও প্রখ্যাত পণ্ডিত। ভারতের কল্যাণের লক্ষ্যে তিনি সর্বদা কাজ করেছেন। মন্ত্রিত্বকালে উদ্বাবনী নীতি নির্ধারনের স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা।


১৯২৭-এ জন্ম জগমোহনের। প্রাক্তন আমলা জগমোহন দিল্লি ও গোয়ার উপ রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পঞ্চম রাজ্যপাল।


জম্মু ও কাশ্মীরকে প্রদত্ত বিশেষ মর্যাদা নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন তিনি। রাজ্যপাল হিসেবে কর্মকালে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। তাঁর এই পদক্ষেপ বিভিন্ন মহলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল। যদিও অনেক রাজনৈতিক নেতা বিচ্ছিন্নতাবাদী হিংসা মোকাবিলায় তাঁর গৃহীত কঠোর পদক্ষের সমালোচনা করেছিলেন।


দিল্লি মাস্টার প্ল্যান উদ্ভাবন ও রূপায়নের জন্য ১৯৭১-র ২৬ জানুয়ারি পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছিলেন জগমোহন।


জগমোহনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য কর্মকাল স্মরণ করেছেন শাহ।


১৯৮৪-তে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় পাঁচ বছরের মেয়ার পূর্ণ করেন তিনি। এরপর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত দেখা গেলে তাঁকে ১৯৯০-এ ফের রাজ্যপাল করা হয়। কিন্তু তৎকালীন ভিপি সিংহ নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে তাঁকে দায়িত্ব গ্রহণের পাঁচ মাসের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়।


এরপর জগমোহন বিজেপিতে যোগ দেন এবং নয়াদিল্লি থেকে বেশ কয়েকবার বিজেপি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬-এ প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হন এবং নগর উন্নয়ন ও পর্যটন দফতরের মন্ত্রী  হয়েছিলেন জগমোহন। আজ ৯৩ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।