নয়াদিল্লি: বারো মাসে তেরো পার্বণ বাঙালির। সেই পার্বণের পাশাপাশি, বাংলাতেও বড়সড় উত্সবের জায়গা করে নিয়েছে গণেশ পুজো। শারদোত্সবের মাসখানেক আগেই আসছেন গণপতি। করোনা আবহে ক্যালেন্ডার মেনে এসে পড়েছে গণেশ চতুর্থী।গণপতি বাপ্পাকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই আরব সাগরের তীরে। গঙ্গাপাড়ের কলকাতাতেও এখন জমজমাট সেই উত্সব। তবে আসমুদ্রহিমাচলে এবার গণপতি উত্সব হচ্ছে করোনা বিধি মেনে। বাইরে জমায়েত করতে বারবার মানা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
গণেশ চতুর্থীতে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন , ' আপনাদের সবাইকে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা। এই শুভ অনুষ্ঠান সবার জীবনে সুখ, শান্তি, সৌভাগ্য এবং সুস্বাস্থ্য বয়ে আনুক। গণপতি বাপ্পা মোরিয়া!
'
ট্যুইটারে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি লেখেন, "গণপতি বাপ্পা মোরিয়া! গণেশ চতুর্থীর শুভ উপলক্ষ্যে সকল দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি কামনা করি যে সব বিঘ্ন নাশ করে গণপতি কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা সফল করুন এবং সবাইকে সুখ এবং শান্তি দিন। আসুন আমরা সবাই কোভিড-বান্ধব আচরণ করে এই উৎসব উদযাপন করি।''
আজ থেকে সারা দেশে গণেশ চতুর্থীর উৎসব পালিত হচ্ছে। তবে গত বছরের মতোই এই বছর করোনা বিধি মেনেই গণেশ উৎসব পালন হবে। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণপতির পুজো করা হয়। মহারাষ্ট্র সহ সারা দেশে গণপতি মোরিয়ার পুজা শুরু আজ থেকেই। গণেশ উৎসব ১০ দিন ধরে চলে বিভিন্ন জায়গায়। চতুর্থীতে শুরু হয়ে অনন্ত চতুর্দশীতে শেষ হয়। ধন-সমৃদ্ধির কামনায় গণেশের পুজো হবে, অথচ মিষ্টি থাকবে না, তা কি হয়? গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে রকমারি মোদক। ছানা থেকে ক্ষীর, চকলেট থেকে মতিচূর দিয়ে মোদক বানাচ্ছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে বাজারদরও কিছুটা বেশি। পুজোর উপকরণ ও মণ্ডা-মিঠাই কেনার ভিড় গতকাল থেকেই।