নয়াদিল্লি: রিলায়্যান্সের (Reliance Industries) রাজপাটে শুধু ভাগ বসানোই নয়, দৌড়ে ঢের এগিয়ে গিয়েছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। তবে দেশের অন্দরে করে-কর্মে খাওয়ার ক্ষেত্রে সহাবস্থান বজায় রাখার পক্ষে দুই শিল্প সংস্থাই। তাই দুই সংস্থার মধ্যে গোপন ‘শিকার-বিরোধী চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে খবর (No Poaching Deal)। চলতি বছরের মে মাসে দুই সংস্থার মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গিয়েছে। রিলায়্যান্স এবং আদানি গ্রুপের সমস্ত শাখা সংগঠনের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।


রিলায়্যান্স এবং আদানিদের মধ্যে গোপন চুক্তি!


দুই সংস্থার তরফে এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি যদিও। তবে কর্পোরেট দুনিয়া এমন চুক্তি নতুন কিছু নয়। ‘শিকার-বিরোধী চুক্তি’র আওতায় বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে সম্মত হয় দু’পক্ষকেই, যার মধ্যে অন্যতম হল, এক সংস্থা অন্যের দক্ষ এবং প্রতিভাবান কর্মী-আধিকারিক ভাঙিয়ে নিতে পারবে না। রিলায়্যান্স এবং আদানি গ্রুপের চুক্তিপত্রেও সেটিই মূল শর্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।


রিলায়্যান্স এবং আদানি গ্রুপই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিক ভারতীয় সংস্থার মধ্যে এমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার নজির রয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের দাবি, এই ধরনের চুক্তি আগেও হয়েছে। অত্যন্ত অনাড়ম্বর ভাবেই এই ধরনের চুক্তি হয়। অনেক ক্ষেত্রে অলিখিতও থাকে। গোটা বিষয়টিই গোপন রাখা হয়। সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পর কেউ কারও কর্মী ভাঙিয়ে নেওয়া পথে যায় না।  


আরও পড়ুন: Rupee Record Low: টাকার দামে নয়া সর্বকালীন পতন, প্রতি ডলারে ৮০.৫৮, ঋণের উপর বাড়বে সুদের হার!


ভারতে এই মুহূর্তে রিলায়্যান্স এবং আদানিদের রমরমাই সবচেয়ে বেশি। তেল থেকে, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ, খাদ্য সামগ্রী, টেলিকম, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। একাধিক ক্ষেত্রে দুই সংস্থার মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতাও রয়েছে। পেট্রো-রাসা।নিকে এত দিন শীর্ষে ছিল রিলায়্যান্স। সম্প্রতি তাতে পা রেখেছে আদানি গ্রুপও। রিলায়্যান্সের পর খুচরো ব্যবসার উপর জোর দিচ্ছে আদানি গ্রুপও।


মাত্র এক বছরে মুকেশ আম্বানির থেকে ঢের এগিয়ে গিয়েছেন গৌতম আদানি


তবে দীর্ঘ সময় দেশের শীর্ষ শিল্পপতির স্থান দখল করে থাকলেও, সম্প্রতি মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে শীর্ষে উঠে এসেছেন গৌতম আদানি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তাঁর দৈনিক আয় ১ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। ৩ লক্ষ কোটি টাকায় তাঁর কাছে পিছিয়ে পড়েছেন মুকেশ। অথচ এক বছর আগেই মুকেশের চেয়ে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকা কম ছিল।