দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডে ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। জোশীমঠের কাছে চিন সীমান্তে নীতি উপত্যকায় হিমবাহে ফাটল ৷ যে ঘটনার পরই বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন ৷ নীতি উপত্যকার সুমনা এলাকায় হিমবাহ ধসের খবর পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ধসের ফলে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জোশীমঠের সুমনা থেকে ৩৮৪ জনকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র ৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই ফোনে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৷ সেনাবাহিনীকে সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
ফেব্রুয়ারিতে চামোলিতে হিমবাহ ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৭২ জনের ৷ উত্তরাখণ্ডে ফের একবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা। জোশীমঠের কাছে ভারত-চিন সীমান্তে নীতি ঘাটিতে আবারও হিমবাহ ফেটে বিপত্তি। বড়সড় বিপর্যয় এড়াতে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছে সাহায্যের আশ্বাস। এর আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবনে হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৭২ জনের।
মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত টুইট করে জানান, ‘নীতি উপত্যকার সুমনায় হিমবাহ ধসের খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের থেকে খবরাখবর নিচ্ছি।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবনে হিমাবহ ধসের ঘটনা ঘটে। হড়পা বানে ভেসে যায় ধৌলি গঙ্গা, ঋষিগঙ্গা ও অলোকানন্দা নদী। ঘটনায় কমপক্ষে ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। দু’মাস যেতে না যেতেই ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভ্রুকুটিতে আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা ৷