পানাজি:  গোয়ার ভোটের ময়দানে এবার কলকাতার ময়দানের জনপ্রিয় প্রাক্তন ফুটবলার অ্যালভিটো ডি কুনহাকে দলে টানল তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে এবার তৃণমূলে প্রাক্তন ফুটবলার অ্যালভিটো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে  তুলে নিলেন জোড়াফুলের পতাকা। পানাজিতে কিম শর্মাকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের  সভায় এলেন লিয়েন্ডার পেজ। ঘাসফুল শিবিরে সামিল হয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন অ্যালভিটো।


উল্লেখ্য, এর আগেই গোয়ার দুবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে। এছাড়াও আরও কয়েকজন গোয়ার উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক মুখ জোড়াফুল শিবিরে ভিড়েছেন ভোটের আগে।  কিছুদিন আগে গোয়াতে তৃণমূল নেত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূল যোগ দিয়েছিলেন লিয়েন্ডার পেজ। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন অ্যালভিটো।


উল্লেখ্য়, কিছুদিন আগে থেকেই অ্যালভিটোর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছিল। ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের পর একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অ্যালভিটোকে। ততদিনে, তৃণমূল গোয়ায় রাজনৈতিক জমি শক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে ফেলেছিল। সেই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অ্যালভিটোকে দেখা যাওয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল।


উল্লেখ্য, এর আগে গত সেপ্টেম্বরেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন খেলোয়াড়। গোয়ার ভূমিপুত্র এই প্রাক্তন ফুটবলার কংগ্রেসে যোগ দিয়ে গিয়ে অ্যালভিটো বলছিলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার গোয়ার ক্রীড়াবিদ ও ফুটবলারদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।


এবার সেই অ্যালভিটো কয়েক মাসের মধ্যেই দলবদলে তৃণমূলে যোগ দিলেন। গোয়ার ভোটের ময়দানে কলকাতা ক্লাবের প্রাক্তন এই তারকা ফুটবলার তৃণমূলের হয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবেন, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।


 উল্লেখ্য, এদিন গোয়ার পানাজিতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছেন, গোয়ায় জোট করেছি, তাই ভয় পেয়েছে বিজেপি। গোয়ার মানুষই গোয়া শাসন করবে। আমার প্রথম পরিচয় মানুষ, বিজেপির কাছে সার্টিফিকেট চাই না।’


নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভোট এলেই গঙ্গাস্নান করেন, উত্তরাখণ্ডের মন্দিরে ছুটে যান।’অথচ করোনার সময় শেষকৃত্যও করতে দেয় না, গঙ্গায় ভাসিয়ে অপবিত্র করে’।


মমতা বলেছেন, ‘দুর্গাপুজোয় ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বিজেপি এসব করে দেখাতে পেরেছে?’ভোটের সময় এলেই ধর্মের ভেদাভেদ, গঙ্গাস্নান করে।’