আশাবুল হোসেন ও সন্দীপ সরকার, পানাজি: কংগ্রেসের ক্ষতি করতে গোয়ায় এসেছে তৃণমূল। তাই তাদের সঙ্গে কোনওভাবেই জোট নয়। জানিয়ে দিল গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস। অন্যদিকে, বিজেপিকে বাঁচানোর জন্যই ওদের সঙ্গে কংগ্রেস বন্ধুত্ব করেছে বলে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এই তরজার মধ্যেই আজ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার আলভিটো ডি’কুনহা।
গোয়ায় এদিনও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমিও কংগ্রেসে ছিলাম। কেন ছেড়ে দিলাম? আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব দেখে। আপনারা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন, ওদেরকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু এখন আর সেটা হবে না।
এদিন গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চোড়নকর বলেছেন,গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে কখনই জোট নয়। আসন্ন বিধানসভা ভোটে যে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করবে না তা বুঝিয়ে দিল গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস।
গোয়ায় জমি তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। একসঙ্গে গোয়া সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপির পাশাপাশি গোয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে নিয়ম করে কংগ্রেসকেও লাগাতার আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কোনও কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের জমিদার মনে করে, নিজেরাও করে না, কাউকে করতেও দেয় না। আমি এই জন্যই কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছি।
তবে আক্রমণের পাশাপাশি সোমবার কৌশলে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে জোট বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, জোট করতে হলে তৃণমূলের নেতৃত্বে করতে হবে। কিন্তু, তা যে কোনওভাবেই সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দিল কংগ্রেস।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলতে চাই না। যদি কংগ্রেস ভাবে বিজেপিকে হারানোর জন্য কাজ করবে, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা তো গোয়ায় জোট করে ফেলেছি। MGP পার্টি, ফরওয়ার্ড পার্টিকে নিয়ে। NCP-র যিনি ছিলেন, ৪-৫টা দল নিয়ে জোট করে নিয়েছি। এটাই বিকল্প। আপনারা যদি যোগ দিতে চান, দিন।
গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, তৃণমূল আমাদের ক্ষতি করতে এসেছে। তাই তৃণমূলের সঙ্গে কখনই জোট করবে না কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন তারা ভোট ভাগ করতে গোয়া আসেননি। পাল্টা কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের একটাই লক্ষ্য বিরোধী ভোগ কেটে বিজেপিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করার জন্য বিজেপিই তৃণমূলকে গোয়ায় এনেছে। চার্চিল আলেমাও বিজেপির কথাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি সরকার চার্চিলের ক্লাবকে এক কোটি টাকা দিয়েছে।
আগামী বছর শুরুতেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন।