Goa Assembly Election 2022:  পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর রাজ্যের বাইরে গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্য সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা গোয়ার নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। গতকালই গোয়া সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যেই জমি শক্ত করতে গোয়া সফর করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এরইমধ্যে গোয়ার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-শিবসেনা-এনসিপি জোট সরকার চলছে। সেই জোটের শরিক শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, উপকূলবর্তী  গোয়ার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলের উপস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে বিজেপির।


শিবসেনার মুখপত্রে সঞ্জয় রাউত বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের ‘অনির্ভরযোগ্য’ নেতাদের দলে সামিল করছে। এমন মনোভাব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের শোভা পায় না। সঞ্জয় রাউত আরও দাবি করেছেন, তৃণমূল গোয়া নির্বাচনের জন্য ‘অত্যধিক অর্থ খরচ’ করছে এবং কেউ কেউ বলছে যে, দলের পক্ষ থেকে যে অর্থ খরচ করা হয়েছে, তার ‘উৎস অন্য কোথাও’ রয়েছে।  


উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন শনিবার ঘোষণা করেছে যে, গোয়া বিধানসভার ৪০ আসনে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটের লড়াইয়ে সামিল বিজেপি, কংগ্রেস, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি (জিএফপি), মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) , আম আদমি পার্টি (আপ), তৃণমূল কংগ্রেস এবং এনসিপি-র মতো দল।


সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ’প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির লক্ষ্য কংগ্রেসের অস্তিত্ব ঘুচিয়ে দেওযার, তাহলে তার কারণ বোধগম্য। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্দেশ্য তাঁর ভাবমূর্তির অনুকূল নয়’। তিনি আরও বলেছেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় ১৭ আসনে জিতেছিল কংগ্রেস এবং সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছিল। এখন তাদের আসন সংখ্যা কমে হয়েছে ২। এর কারণ, গোয়ায় কংগ্রেসে শক্তিশালী নেতৃত্ব নেই। তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘এবার গোয়ার ভোটে জেতা বিজেপির পক্ষে সহজ হবে না। কিন্তু আপ ও তৃণমূলের মতো দল বিজেপিকে সাহায্য করতে কংগ্রেসের পথে কাঁটা ছড়াচ্ছে’।