আমদাবাদ: গুজরাতে গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ বছর পুলিশের জালে  মূল অভিযুক্ত রফিক হুসেন ভাটুক। তাকে গোধরা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।  
২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের পাঁচমহল জেলার গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুণ ধরিয়ে দেয় একদল দুষ্কৃতী। অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়েছিল। 
পুরো ষড়যন্ত্রে অভিযুক্তদের যে কোর গ্রুপ ছিল, ভাটুক তার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পাঁচমহলের পুলিশ সুপার লীনা পাটিল এ কথা জানিয়েছেন। 
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোধরা পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে স্টেশন সংলগ্ন সিগন্যাল ফালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫১ বছরের ভাটুককে ধরে ফেলে বলেও পাটিল জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৯ বছর ধরে ফেরার ছিল ভাটুক। 


পাটিল জানিয়েছেন, ভাটুকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তৈরি, জনতাতে উস্কানি ও ট্রেনের কোচ জ্বালানোর জন্যে কেরোসিনের বন্দোবস্ত করার মতো অভিযোগ রয়েছে। 
ঘটনার তদন্ত চলাকালে ভাটুকের নাম সামনে আসে। কিন্তু সে দিল্লি পালিয়ে যায়। এসপি জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই ভাটুক দিল্লিতেই কাটিয়েছে। সেখানে রেল স্টেশন ও নির্মাণ স্থলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। ঠেলাতে করে জিনিসপত্রও বিক্রি করত। 
পাটিল জানিয়েছেন, সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, ভাটুক তার বাড়ি বদলেছে। বেশ কয়েকবারই তাকে ধরার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশের দল তাকে ধরার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে। পাটিল আরও বলেছেন, তদন্তের জন্য এবার ভাটুককে তাঁরা গোধরা পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। 


পাটিল জানিয়েছেন, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ভাটুক সম্প্রতি তার পরিবারকে সুলতান ফালিয়া এলাকা থেকে সিগল্যাল ফালিয়ায় সরিয়ে আনে।


এসপি বলেছেন, আমরা জানতে পারি, সম্প্রতি সে বাড়ি পাল্টেছে এবং অতীতেও বাড়িতে এসেছে। কিন্তু দু-একদিন থেকেই সে চলে যেত। এজন্য তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।


এসপি আরও বলেছেন, এখনও কমপক্ষে তিন অভিযুক্ত সেলিম ইব্রাহিম বাদম ওরফে পানওয়ালা, শৌকত চরখা ও আব্দুলমজিদ ইউসুফ মিথা এখনও ফেরার। ওই তিনজন পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়।