নয়াদিল্লি: আগের মাসের তুলনায় সামান্য কমলেও, অগাস্ট মাসে পণ্য পরিষেবা কর বাবদ কেন্দ্রের আয় দেড় লক্ষ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই (GST Revenue)। অগাস্ট মাসে সবমিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বিবৃতি প্রকাশ করে জানাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এই নিয়ে পর পর ছ’মাস জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার উপর রইল (GST Collection)।


জিএসটি বাবদ অগাস্ট মাসে ১.৪৩ লক্ষ কোটি আয় 


এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি যখন যেমন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, ধারাবাহিক ভাবে তার ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে জিএসটি বাবদ আয়ের উপরও।


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক যে হিসাব দিয়েছে, সেই অনুযায়ী, অগাস্ট মাসে জিএসটি বাবদ ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর বাবদ (CGST) ২৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। ৩০ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা আয় হয়েছে রাজ্য বিক্রয় কর বাবদ (SGST)। ৭৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা আয় হয়েছে আমদানিকৃত পণ্যে উপর আরোপিত কর-সহ সমন্বয় কর বাবদ। শুল্কবাবদ আয় হয়েছে ১০ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: Aadhaar-Voter ID Linking: আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিঙ্ক করেননি ? এই সহজ পথে পান সমাধান


এর আগে, জুলাই মাসে জিএসটি বাবদ ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা আয় করে। সেই তুলনায় সামান্য কম হলেও, ২০২১-এর অগাস্ট মাসের তুলনায়, এ বছর অগাস্টে জিএসটি বাবদ আয় বেড়েছে ২৮ শতাংশ। ২০২১-এর অগাস্ট মাসে জিএসটি বাবদ ১ লক্ষ ১২ হাজার ২০ কোটি টাকা আয় করে সরকার। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে এই নিয়ে জিএসটি বাবদ মোট ৭ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা আয় করল সরকার, যা গত বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।


তবে জিএসটিবাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ে রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটলেও, দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আয় বৃদ্ধি সেই তুলনা অনেকটাই কম। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য হল— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (-২৩ শতাংশ), অরুণাচল প্রদেশ (+১১ শতাংশ), অসম (+১০ শতাংশ), ছত্রিশগড় (+২শতাংশ), দমন ও দিউ (+৪ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (+১ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীর (+১১ শতাংশ), লক্ষদ্বীপ (-৭৩ শতাংশ), মণিপুর (-২২ শতাংশ), রাজস্থান (+১০ শতাংশ), সিকিম (+১৩ শতাংশ), তেলঙ্গানা (+১০ শতাংশ)।


জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের


এ বছর জুলাই মাসে আটা, পনির, দই, চাল, ওটস, ডাল, পাউরুটি-সহ নিত্য খাদ্যপণ্যকে জিএসটি ৫ শতাংশ পর্যায়ে রাখা হয়। সেই নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, আটা, ময়দা, ডাল খোলা বিক্রি হলে, তার উপর জিএসটি প্রযোজ্য হেব না। তবে এ ছাড়াও, হাসপাতালের ৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে শয্যা বুক করার ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়। হোটেলে ১ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে ঘর বুক করা ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ জিএসটি বসে। মানচিত্র, পড়াশোনার সামগ্রীর উপর ১২ সতাংশ জিএসটি বসানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের চেক, টেট্রাপ্যাকর উপরও ১৮ শতাংশ জিএসটি বসে। তাতেই সরকারের আয় বেড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।