আমদাবাদ: ভারতে ভয়ঙ্কর করোনায় মৃতের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছুঁইছুঁই। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান জার্নালগুলি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মোদি সরকারের ভূমিকাকে তুলোধনা করছে। 


একটা বেড, একটু অক্সিজেন, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের জন্য হন্য়ে হয়ে ঘুরছে হাজার হাজার মানুষ। অথচ এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও আজগুবি কাণ্ডকারখানার শেষ নেই। চিকিৎ‍সকরা বারবার করে যা বারণ করছেন, কিছু মানুষ সেটাই বারবার করে করে যাচ্ছে। 


ফের গোমূত্র দিয়ে করোনা সারানোর চেষ্টা। তাও আবার যে সে রাজ্যে নয়, খোদ গুজরাতে। এখানকার বনসকাণ্ঠা জেলার একটি গ্রামে গোশালায় তৈরি হয়েছে কোভিড কেয়ার সেন্টার। আর সেখানেই করোনা রোগীদের যে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তাতে দুধ, ঘির সঙ্গে রয়েছে গোমূত্র। 


কোভিড কেয়ার সেন্টারের উদ্যোক্তারাও জানিয়েছেন, সেখানে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের, গোমূত্র ও অন্যান্য ভেষজ মিশ্রিত ওষুধ দেওয়া হয়েছে।


করোনা সংক্রমণের রুখতে যখন চিকিৎ‍সক-বিজ্ঞানীরা দিন-রাত এক করে দিচ্ছেন, তখন বিজ্ঞানের অপমান চলছে গুজরাতের এই গ্রামে। 


উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাইরিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ করোনার কবল থেকে দূরে থাকতে রোজ সকালে নিজে গোমূত্র খাচ্ছেন।  অন্যকে বলেও দিচ্ছেন কীভাবে খেতে হবে। 


দুদিন আগেই তাঁর সেই ভিডিও দেখেছে গোটা দেশ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে, শুধুমাত্র গরু, গোমূত্র, গোধন অর্থাৎ গোমূত্র সেবন করলেই করোনা অতিমারীকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ৫০ মিলিলিটার গোমূত্রের সঙ্গে ১০০ গ্রাম জল মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন।


যথারীতি এই আজব কাণ্ডকারখানা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক বিতণ্ডা। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে বিজ্ঞান যখন লড়ে চলেছে, তখন কুসংস্কারের পিছনে দৌড়নো বন্ধ করছে না কিছু মানুষ।


অন্যদিকে, ল্যান্সেটের পর এবার করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের ভূমিকার সমালোচনায় সরব আরেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল। নেচার পত্রিকার বক্তব্যের সঙ্গে একমত চিকিৎসকদের অনেকেও। নেচার পত্রিকার এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত বিশেষজ্ঞরাও।