আমদাবাদ: এখনও দুর্ভোগ কাটেনি অসমে। তার মধ্যেই আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণে (Weatehr Updae) বড় বিপর্যয় গুজরাতে (Gujarat Flood Situation)। ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rainfall) রাজ্যে প্রাণ হারালেন ৬৩ জন। জলমগ্ন রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা (Water Logged Gujarat)। ফলে বলসাড় সমেত পাঁচ জেলায় জারি হল লাল সতর্কতা। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে আরও ছয় জেলায়। বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ। 


ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাত


একটানা ভারী বৃষ্টিতে ওই ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গুজরাতে। ভারী বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে অম্বিকা নদী। তাতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক জেলা। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ১০ হাজার ৭০০ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ জলবন্দি হয়ে রয়েছেন।



প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র অম্বিকাই নয়, নর্মদা নদীও উপচে পড়ছে। ডেডিয়াপাডা এবং সাগওয়াড়ায় আট ঘণ্টায় ১৭ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কার্জন ড্যামের নয়টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে সেখান থেকে। ফলে আশেপাশের অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


গুজরাত প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকার্য চালাতে উপকূল বাহিনীর চেতক হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। কিন্তু লাগাতার ভারী বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় উদ্ধারকার্যে ব্যাঘাত ঘটছে। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও নেমেছে উদ্ধারকার্যে। বলসাড়-সহ একাধিক জেলায় মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: Viral News: একটা অটোয় সওয়ার ২৭ জন! ভাইরাল ভিডিও দেখলে চমকে যাবেন


নভসারী, গির সোমনাথ, সুরত, রাজকোট, বনসকাঁঠা, বলসাড়, ভাবনগর, কচ্ছ, জামনগর, অমরেলী, দ্বারিকা এবং জুনাগড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৩টি দল মোতায়েন রয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৮টি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জল জমে রাজ্যে প্রায় ৩০০টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


লাল ও কমলা সতর্কতা একাধিক জেলায়


শুধু গুজরাত নয়, গত কয়েক দিন ধরে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরাখণ্ড, কেরলের মতো রাজ্যেও ভারী বৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, রোজকার কাজকর্মও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।