ছহরওয়ালা(গুজরাত) : একেই বলে 'দুর্ভাগ্য'। বহু আশা নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, ভোটে পরাজয় তো হয়েছেই, তার থেকেই বেশি হয়েছে স্বপ্ন ভঙ্গ। ভোটে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের ভোট ক'টাও পেলেন না গুজরাতের(Gujrat) ভাপি জেলার ছহরওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত ভোটের(Panchayat Vote) প্রার্থী সন্তোষ হালপতি।


সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম  Times Now সূত্রের খবর, ছহরওয়ালার গ্রামের সরপঞ্চ পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সন্তোষ। কিন্তু, ভোটের ফল বেরনোর পর ভেঙে পড়েছেন তিনি। কারণ, পরিবারে ১২ জন সদস্য থাকা সত্ত্বেও, কেউ তাঁকে ভোট দেননি। শুধু নিজের ভোটটাই ঢুকেছে ঝুলিতে। 


অপর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম India Today-র রিপোর্ট অনুযায়ী, যখন জানতে পারেন যে পরিবারের কোনও সদস্যই তাঁকে ভোট দেননি, তখন গণনাকেন্দ্রেই ভেঙে পড়েন সন্তোষ। সন্তোষ বলেন, অন্ততপক্ষে স্ত্রী-সহ পরিবার তাঁকে ভোট দেবেন বলে আশা করেছিলেন। 


আরও পড়ুন ; গুজরাতের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ, কোন দল দেখাল দাপট ?


তিনি জানান, স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে তাঁর কোনও দুঃখ নেই। কিন্তু, পরিবারের ১২ জন সদস্যের মধ্যে কেউই তাঁকে ভোট না দেওয়াই তিনি ব্যথিত। টাইমস নাও-কে তিনি বলেছেন, ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু, আমি শুধু একটা ভোট পেয়েছি। এমনকী আমার পরিবারও আমাকে ভোট দেয়নি। 


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন গুজরাতের ৮,৬৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬,৪৮১টির ফলাফল ঘোষণা করে। দিন দুয়েক আগেই নির্বাচন হয়।


প্রসঙ্গত, গুজরাতের এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিশেষত্ব হল, কোনও প্রার্থীই কোনও দলীয় প্রতীকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তাঁরা প্রত্যেকেই দাঁড়ান ব্যক্তিগত পরিচয়ে। অনেক প্রার্থী এমন রয়েছেন যাঁদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ রয়েছে, কিন্তু ভোটের মঞ্চে নামার সময় কোনও প্রার্থীই পাননি দলীয় প্রতীক। পাশাপাশি পরে তাঁরা কোনও দলে যুক্ত হতে পারেন, এমন রাস্তাও খোলা। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে কেউই দলীক প্রতীক পাননি। কোনও দলীয় প্রতীক সেভাবে না থাকলেও আসলে নির্বাচন তো আর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যতিত থাকে না, তাই এই ভোটের ফলাফল সামনে আসার পরই গুজরাতের একাধিক জায়গা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর সামনে আসে।