নয়াদিল্লি: আকারে প্রকারে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। এ বার কংগ্রেসের (Congress) হাত ছাড়লেন গুজরাতের পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল (Hardik Patel)। শুধু দলত্যাগই নয়, যে রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান, বিদায়বেলায় তাঁকেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন হার্দিক। সনিয়া গাঁধীকে লেখা পদত্যাগপত্রে হার্দিক লেখেন, 'কংগ্রেস নেতৃত্ব মোবাইল ফোনে মুখ গুঁজে থাকতেই ব্যস্ত। আর গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা তাঁদের মুখে চিকেন স্যান্ডউইচের জোগান দিতে।'


হাত ছাড়লেন হার্দিক


তবে দলের অন্দরের সমস্যার জেরে নয়, বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election 2022) আগে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে, রীতিমতো পরিকল্পনা মাফিক হার্দিক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। এমনকি সনিয়াকে লেখা হার্দিকের পদত্যাগপত্রের ছত্রে ছত্রে বিজেপি-রই বুলি প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি দলের নেতাদের।  এতে অবশ্য অবাক হচ্ছেন না কেউই। কারণ তলে তলে হার্দিক বেশ কিছু দিন ধরেই বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনটা তাঁদের কানে এসে পৌঁছচ্ছিল বলে খবর। 


পটেল সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের দাবি থেকে রাজনীতিতে এসে পড়া হার্দিকের প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে নরম হতে দেখা যাচ্ছিল বিজেপি-কেও। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হার্দিক বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে গুজরাতের রাজনৈতিক মহলে। হার্দিক যদিও লাগাতার কংগ্রেস থেকে বিজেপি-থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার এই ধারার সমালোচনা করেছে এসেছেন এতদিন। 



আরও পড়ুন: Rajiv Gandhi Assassination Case: জেলবন্দি ৩১ বছর, রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্তকে মুক্ত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের


তবে কারণ যাই হোক না কেন, হার্দিকের প্রস্থানে কংগ্রেস নেতৃত্বের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কারণ দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হার্দিকের অসন্তোষ নিশ্চয়ই অজানা ছিল না তাঁদের। বিজেপি-র সঙ্গে যদি দু'মাস ধরেই সংযোগ থেকে থাকে হার্দিকের, তাহলে এক সপ্তাহ আগেও রাহুলের উপস্থিতিতে আদিবাসী সত্যাগ্রহ মঞ্চে হার্দিককে দেখা গেল কেন, প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। বিধানসভা নির্বাচনে কয়েক মাস বাকি থাকাতে এই দিশেহারা মনোভাব দলের ক্ষতিই করবে বলে মত কংগ্রেস নেতা-কর্মীদেরই। 


পদ্মে ঝুঁকছেন হার্দিক!


সম্প্রতি গুজরাত সফরে গেলেও হার্দিকের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেননি রাহুল। হার্দিকের চিঠিতে সেই নিয়েও অস্নতোষ ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেও। এ ছাড়াও, দেশবাসীর প্রয়োজনে দেশের নেতারা বিদেশে থাকেন বলে লিখেও হার্দিক রাহুলকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস নেতাদের দাবি, হার্দিকের মতিগতি টের পেয়েছিলেন বলে তাঁকে এড়িয়ে চলছিলেন রাহুল।