আমদাবাদ : মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে না। এক ব্যক্তির মামলার শুনানি চলাকালীন একথা বলল গুজরাত হাইকোর্ট (Gujrat High Court)। ওই ব্যক্তি ড্রপ আউটের তিন দশক পর পুনরায় এমবিবিএস (MBBS) কোর্সের ভর্তির আবেদন জানান। 


১৯৮৮ সাল। বরোদা মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তখন কান্দীপ জোশি। কিন্তু, ব্যক্তিগত কারণে ড্রপ আউট হয়ে যান । তাঁরই করা মামলার শুনছিলেন বিচারপতি ভার্গব ডি কারিয়া। 


এই মুহূর্তে ব্যবসায়িক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত কান্দীপ। আদালতে আবেদন জানান, তিনি এমবিবিএসের থার্ড ইয়ারে পড়াশোনা শেষ করতে চান। যদিও ৩০ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত। তা সত্ত্বেও একই কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে চান তিনি। আদালতে এই আবেদন জানান জোশির আইনজীবী।


এই মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত জানতে চায়, জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি কেন এমবিবিএস কোর্স করে "মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চান" ?


শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধরে নেওয়া যাক কোনও নিয়ম (পুনরায় ভর্তির বিষয়ে) নেই। এমনকী তখনও আপনাকে নিজের মর্জিমতো কাজ করতে দেওয়া যায় না, বিশেষ করে যেখানে মানুষের জীবন জড়িত।


বিচারপতি জানতে চান, এটা করে তিনি কী পাবেন ? এই ৫০ বছর বয়সে আপনি কি ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন ? সেটা সম্ভব নয়। আপনার কতজন সন্তান আছে ? এই ৫০ বছর বয়সে নিশ্চয়ই আপনার সন্তানরাও এমবিবিএস কোর্স করার বয়সে পৌঁছে গেছে। সন্তানদের সঙ্গেই কি এই কোর্সে পড়াশোনা করবেন ? 


যখন জোশির আইনজীবী জানান যে, তাঁর মক্কেল পরীক্ষায় বসার আগে থার্ড ইয়ারের কোর্স পড়তে চান। তখন আদালত জানিয়ে দেয়, এই ধরনের অনুমতি দেওয়া যাবে না।   


থার্ড ইয়ারে ভর্তির জন্য প্রথম ২০১৩ সালে কলেজের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জোশি। কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালতের দ্বারস্থ হন জোশি। সেখানেও তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। অবশ্য তাঁকে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এমসিআই-ও জানিয়ে দেয়, পড়াশোনা থামানোর পর ৫ বছর পর্যন্ত পুনরায় ভর্তির মেয়াদ থাকে। জোশির ক্ষেত্রে ২০১৩ সালে কলেজের দ্বারস্থ হওয়ার সময় যা ৩১ বছর হয়ে গিয়েছিল।