মুম্বই: মিলে গেল আবহাওয়া দফতরের (met department) অশনি সঙ্কেত। তীব্র বর্ষণ (heavy rain) ও তার জেরে দুর্ঘটনায় (rain related accident) মহারাষ্ট্র (maharashtra), গুজরাত(gujrat) ও মধ্য়প্রদেশ (madhya pradesh) মিলিয়ে মৃত্যু (death) ১৮ জনের। এর মধ্যে অন্তত ৬ জন শিশু (children)। বৃষ্টির মধ্যেই হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয় শিবিরে সরানো হয়েছে বলে খবর।  


বৃষ্টির দাপট...


ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি। মঙ্গলবার ভয়ঙ্কর অবস্থা মুম্বই এবং লাগোয়া শহরতলিতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরের বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ওলোটপালোট হয়ে যায় বাণিজ্যনগরীর যান-চলাচল। একটি নির্মীয়মাণ স্থাপত্য ভেঙে দুজনের মৃত্যু হয় মুম্বইয়ের শহরতলিতে। গড়ছিঢ়ৌলি জেলায় এক জন ভেসে যান। মোট তিন শিশু-সহ অন্তত নজনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৩টি দল ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দল এর মধ্যেই উদ্ধারকাজে সামিল। তবে এতেই দুর্ভোগ কমছে না। আগামী তিন দিনও নাসিক, পালঘর ও পুনে জেলার কয়েকটি অংশে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।   


কী পরিস্থিতি মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতে?


তথৈবচ অবস্থা মধ্যপ্রদেশের একাংশের। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে অগর মালওয়া জেলায়। বজ্রাহত হয়ে তিন শিশু মারা যায়, জখম আরও চার। শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিতে নাকানিচোবানি পরিস্থিতি গুজরাতের বড় অংশে। অন্তত ছজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা সেন্টারের হিসেব অনুযায়ী,কচ্ছের অনজন তালুকায় গত কাল সকাল ছটা থেকে পরের ছঘণ্টার মধ্যেই ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই মেয়াদে গান্ধীধাম তালুকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৫ মিলিমিটার। পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর বোঝাতে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে প্রশাসন। গুজরাতের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রীর হিসেব অনুযায়ী, বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা থেকে এর মধ্যেই ২৭ হাজার আটশো ছিয়ানব্বই জনকে উদ্ধার করতে হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়।  তিন রাজ্যেই অনেকে নিখোঁজ। 


সব মিলিয়ে চিন্তায় আবহ। 


আরও পড়ুন:নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ডায়মন্ড হারবারের বাইরেও ‘এক ডাকে অভিষেক’