তিরুঅনন্তপুরম : নির্বাচনের দামাম বাজার সময় থেকেই লড়াইয়ে তিনি। তবে শেষ ল্যাপে মাঠে নামা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীই কার্যত ফেভারিট। কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে ভোটপ্রচারে নেমে মল্লিকার্জুন খাড়্গে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শশী থারুর (Sashi Tharoor)। নিজের রাজ্য কেরলে প্রচারের মাঝে বুঝিয়ে দিলেন, লড়াইটা আসলে ঠিক কোন জায়গায়।


'কীভাবে দল এগোবে, সেই মতের লড়াই'


দলের একাধিক সিনিয়র নেতা যে তাঁর সঙ্গে নেই, সেটা জেনেও লড়াইয়ের মঞ্চে অবিচল শশী থারুর। কংগ্রেস নেতার সাফ কথা, 'দলের বড় নেতারা যে আমার সঙ্গে নেই সেটা জানি। কখনও আমি মিস্টার খাড়্গেকে সেভাবে চ্যালেঞ্জই তো জানাইনি। আমাদের আসল লড়াইটা মতপার্থক্যে। দু'জনেই কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী। দলকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ও ২০২৪-এ বিজেপির বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করা হবে, সেই নিয়ে লড়াই।'


১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন


প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন। ঘটনাচক্রে কংগ্রেসের অন্দরে বিক্ষুদ্ধ জি-২৩ শিবিরের অংশও ছিলেন তিনি, অভ্যন্তরীণ রদবদল, নয়া সভাপতি নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছিলেন যিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সভাপতি পদ থেকে যখন সরে দাঁড়ান রাহুল, সেই সময় সনিয়াকে লেখা চিঠিতে সংগঠনে রদবদল ঘটানোর আর্জি জানিয়ে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল শশীরও। মায়ের মৃত্যু এবং বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে সম্প্রতিই দেশে ফিরেছেন সনিয়া। সোমবার সন্ধেয় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শশী। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই প্রবীন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallkarjun Kharge)। যাঁর দিকেই সমর্থনের পাল্লা ভারী অনেকটাই।




প্রথমে লড়াইয়ে ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জলঘোার কারণে কার্যত তৈরি হয় বিদ্রোহের পরিস্থিতি। যা নিয়ে গহলৌত ঘনিষ্ট কয়েকজনকে শোকজও করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার পরে শেষমেশ লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান অশোক গহলৌত। যার পরে থারুরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন কংগ্রেসের অপর অভিজ্ঞ নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। যদিও কার্যত অলিখিত গাঁধী পরিবারের সমর্থন নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়্গে লড়াইয়ে নামার পরই সরে দাঁড়ান তিনিও। ১৭ অক্টোবর নির্বাচন ও তার দু'দিন পরে ফলপ্রকাশের গতিপ্রকৃতি তাই কোন পথে তা নিয়ে কার্যত সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলেই। এবার দেখার সবকিছু আপাত তৈরি পরিস্থিতি অনুযায়ীই এগোয়, নাকি অন্য কোনও রাস্তায় এগোয়, সেটাই দেখার।


আরও পড়ুন- ইস্তাহারের মানচিত্র থেকে বাদ জম্মু -কাশ্মীর, লাদাখ! ক্ষমা চাইলেন শশী তারুর