নয়াদিল্লি: দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জেরে দশম শ্রেণির সর্বভারতীয় বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করল আইসিএসই। এর আগে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাগ্রহণ পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল আইসিএসই।


গত ১৬ তারিখ, বোর্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, দশম শ্রেণির আইসিএসই পরীক্ষা এবার ঐচ্ছিক হবে। অন্যদিকে, দ্বাদশ শ্রেণির আইএসসি-র পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। এদিন দশম শ্রেণির পরীক্ষা একেবারে বাতিল ঘোষণা করা হল। 


এর আগে, গত ১৪ তারিখ, সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করল কেন্দ্র। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হয়। ৪ মে থেকে সিবিএসই দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুন। 


কিন্তু, করোনা ভারতে ভয়ঙ্কর আকার নেওয়ায়, সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। করোনার হাত থেকে পড়ুয়াদের আড়াল করতে পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও। 


এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেই বৈঠকেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  


কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট বা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের মাধ্যমে পরের ক্লাসে তোলা হবে। তবে, কোনও পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সে পরীক্ষায় বসতে পারবে। 


দ্বাদশের পরীক্ষা পিছিয়ে গেলেও, কবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। ১ জুন ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ। দ্বাদশের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ১৫ দিন আগে নোটিস দেওয়া হবে। 


পরীক্ষা বাতিল ও স্থগিত ঘোষণার পরই, ট্যুইট করে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বলেন, শেষমেষ দশমের পরীক্ষা বাতিল করল কেন্দ্র। যদিও দ্বাদশ নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। জুন পর্যন্ত পড়ুয়াদের অকারণে চাপের মধ্যে রাখার কোনও মানে নেই। এটা ঠিক নয়। সরকারের কাছে আবেদন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। 


এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যেও দশম-দ্বাদশের পরীক্ষা যে এখনই হচ্ছে না, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জীবনকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আগে থেকেই সতর্ক হয়েছি। শিক্ষাক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণ যাতে না হয়, সেটাও দেখা হচ্ছে।


গত বছর, এপ্রিলেই, লকডাউন পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাওয়ায়, সিবিএসই দশমের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়।  অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রেড দেওয়া হয়। 


আবার ঘুরে এল আরও একটা এপ্রিল। বদলালো না পরিস্থিতিটা। বরং, আরও ভয়ঙ্কর চেহারায় ফিরে এল মারণ ভাইরাস।