নয়াদিল্লি: বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে হলেও আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়করের আওতায় না পড়লেও এই কাজে আদতে আপনারই সুবিধা।


আয়কর জমার নিয়ম বলছে, বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টাকা আয় হলেই ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হয়। বছরে আয় এর থেকে কম হলে আয়করের আওতায় পড়েন না আপনি। এরপরও চাইলেই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন কোনও ব্যক্তি। তাতে লোকসানের কিছু নেই, বরঞ্চ রয়েছে বেশকিছু সুবিধা। 


ইনকাম আয়করের আওতায় না পড়লেও ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। ভবিষ্যতে তা আয়ের প্রামাণ্য নথি হিসাবে থেকে যাবে। পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে গেলে এই নথি কাজে লাগবে। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ি বা বাড়ির ঋণে ২ বছরের আয়কর রিটার্নের প্রামাণ্য নথি দেখতে চায় ব্যাঙ্ক। সেই ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দেওয়া থাকলে আপনারই সুবিধা হবে। 


অতিরিক্ত টিডিএস কাটা গেলে ফেরত পেয়ে যাবেন


অনেক সময় আয়করের আওতায় না পড়লেও ট্যাক্স সোর্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। যেমন, আপনার ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে বার্ষিক আয়, অথচ ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক আপনার থেকে ১০ শতাংশ আয়কর কেটে নিল। এই ক্ষেত্রে আপনি ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিলে আয়কর বাবদ কাটা টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। 


ভিসার আবেদনে কাজে দেয় ট্যাক্স রিটার্ন


ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা থাকলে তা বাতিল হওয়ার উদাহরণ কম। এই ট্যাক্স রিটার্ন প্রমাণ করে আপনি দায়িত্ববান নাগরিক। এখানেই শেষ নয়। অনেক দেশ ভিসা আবেদনের জন্য আলাদা করে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন চায়। সেই ক্ষেত্রে আপনারই সুবিধা হবে।


বিশেষ সময়েও কাজে লাগে এই রিটার্ন ফাইল


দেশের বাইরে কোনও সম্পত্তি থাকলে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূল্যক। কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার ওপরে থাকলে সেক্ষেত্রেও রিটার্ন জমা করতেই হয়। কারও ইলেকট্রিক বিল বছরে ১ লক্ষ টাকার বেশি এলেও কাজে লাগে এই আইটিআর ফাইলিং। এ ছাড়াও কোনও ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের খরচ ২ লক্ষ টাকার বেশি হলে আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক।