কলকাতা : উৎসবের আগেই রাস্তায় জনতার ঢেউ। কেনাকাটি চলছে পুরোদমে। মহালয়ার তর্পনের ভিড় বা পুজোর বাজারের ভিড়ই বুঝিয়ে দিচ্ছে পুজোয় রাস্তায় কেমন ঢল নামতে পারে। শুধু বাংলায় নয় , নবরাত্রি উৎসব শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা যেন ভুলতে বসেছে মানুষ ! এরই মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী হল দেশের করোনাগ্রাফ।
উত্সবের মরশুমে দেশে করোনায় প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যু বাড়ল প্রায় ১৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৪৩১ জন।
একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৫৬ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩১২। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৯৮। যা গত সাড়ে ৬ মাসে সর্বনিম্ন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৮ হাজার ৮৩৩ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ২৭৮ জনের। এই উর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিঃসন্দেহে ভয়ের সঞ্চার করছে।
এরইমধ্যে দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ২৫৮ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৬০২ জন।
এদিকে, রাজ্যেও ফের বাড়ল করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭৮৬ জন। এ নিয়ে রাজ্য মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫,৭৩,২৪৬ জন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা কেসের সংখ্যা ৭,৫৯১ জন। আগের দিনের তুলনায় যা ১৬ জন কম।এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। রাজ্যে এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা হল ১৮,৮৬৩ জন। পাশাপাশি গত ১ দিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭৫৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৫,৪৬,৭৯৫ জন।
এই পরিস্থিতিতে ফের একবার সতর্ক করল আইসিএমআর ( Indian Council of Medical Research (ICMR)) । এই সময় যেসব রাজ্যে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে,সেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল তারা। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যকে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,, পর্যটকদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশনের দুি ডোজের সার্টিফিকেট বা RT-PCR test এর রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করার জন্য ।