নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮২৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ১৮৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ১ হাজার ৭৪৩। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬৫৩। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৯০১ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২২ হাজার ৮৪৪ জন।
উৎসবের আবহে রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে থিক থিকে ভিড়। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অনেকের মুখেই থাকছে না মাস্ক। দূরত্ব বিধি দূর অস্ত। শিশুদের নিয়েও বাড়ছে আশঙ্কা। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। যাদের জন্য এখনও ভ্যাকসিনেশন শুরুই হয়নি, অর্থাত্ সেই শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়েও ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণের শঙ্কা। কারণ ভিড় ঠেলে মা-বাবার হাত ধরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে কচিকাঁচারাও। পুজোর ভিড় থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে নানা রকম বিধি নিষেধে বেঁধে দিয়েছে আদালত ও প্রশাসন। কিন্তু সাধারণ দর্শনার্থীরা যদি সচেতন না হন, তাহলে? আশঙ্কা বাড়ছে বিভিন্ন মহলে।
এরই মধ্যে এসেছে সুখবর! করোনায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিনেশনে আরও এক ধাপ। ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর ব্যবহারের জন্য DCGI-কে সুপারিশ করল কেন্দ্রের তৈরি সাবজেক্ট এক্সপার্টস কমিটি। এবার অপেক্ষা DCGI-এর চূড়ান্ত ছাড়পত্রের। দুটি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৬ কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন এখনও শুরুই হয়নি! এরইমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা! একই সঙ্গে চলছে উত্সবের মরশুম! এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়।
সূত্রের খবর, তারপর সেই রিপোর্ট জমা পড়ে কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন বা CDSCO-তে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে CDSCO এবং সাবজেক্ট এক্সপার্টস কমিটি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল দেখে কোভ্যাক্সিন ব্যবহারে DCGI-কে সুপারিশ করেছে সাবজেক্ট এক্সপার্টস কমিটি।