কলকাতা : করোনায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিনেশনে আরও এক ধাপ। ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর ব্যবহারের জন্য DCGI-কে সুপারিশ করল কেন্দ্রের তৈরি সাবজেক্ট এক্সপার্টস কমিটি। এবার অপেক্ষা DCGI-এর চূড়ান্ত ছাড়পত্রের। দুটি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৬ কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন এখনও শুরুই হয়নি! এরইমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা! একই সঙ্গে চলছে উত্সবের মরসুম! এ দেশে আর কোন কোন সংস্থা শিশুদের ভ্যাকসিনেশন তৈরির দৌড়ে , দেখে নিই ।
জনসন অ্যান্ড জনসন ( Johnson & Johnson ) : ভারতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য অনুমতি চেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। গত ১৭ অগাস্ট সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে ওই অনুমতি চাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।
সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (SII, Covovax): সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকার নাম কোভোভ্যাক্স (Covovax)। ২-১৮ বছর বয়সীদের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড় পেয়েছে আদর পুনাওয়ালার সংস্থা। সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla ) জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরই এই টিকা ছাড়পত্র পাবে।
জাইডাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila's ZyCoV-D): গুজরাতের সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন জাইকভ ডি ১২-১৭ বছর বয়সীদের উপর প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে। তারা এখন শিশুদের টিকা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
বায়োলজিক্যাল ই (Biological E's Corbevax ): হায়দরাবাদের এই সংস্থাটিও শিশুদের ভ্যাকসিন নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে। ৫-১৮ বছর বয়সীদের উপর টিকার ট্রায়ালে ছাড়পত্র পেয়েছে এদের তৈরি টিকা কোর্বেভ্যাক্স। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে এই টিকার। বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিসট্যান্স কাউন্সিল (BIRC)-র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই টিকা প্রস্তুত করেছে বায়োলজিক্যাল ই।
অন্যদিকে, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা যাঁদের কম, করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরেকটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য তাঁদের পরামর্শ দিয়েছে WHO-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি। দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ১৮৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ১ হাজার ৭৪৩। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬৫৩। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৯০১ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২২ হাজার ৮৪৪ জন। করোনার পরীক্ষাও চলছে পুরোদমে।