নয়াদিল্লি: ধর্মীয় স্বাধীনতার (religious freedom) মাপকাঠি বিচারে ভারত (india)সম্পর্কে আমেরিকার (usa) সরকারি কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা 'ভুল ও পক্ষপাতদুষ্ট।' বলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। মন্ত্রকের  মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির কথায়, 'এই ধরনের পর্যবেক্ষণ বুঝিয়ে দেয় ভারত ও তার গঠনগত বৈচিত্র্য, বহুত্ব (plurality) এবং গণতান্ত্রিক নীতিবোধ  নিয়ে কতটা কম ধারণা রয়েছে।'


কীসের রিপোর্টে বিতর্ক?


আমেরিকার 'দ্য কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম'সম্প্রতি তাদের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ভারতকে 'উদ্বেগজনক রাষ্ট্রের' (country of concern) তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছে। চিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং আরও ১১টি দেশকেও একই শ্রেণিভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট নিয়েই আপত্তি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের। 


কী বলছে ভারত?


জুনেই রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম ভারতের ব্যাপারে যে পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল মন্তব্য করেছে, সেটা আমরা দেখেছি। ...দুঃখজনকভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের জন্য বার বার বিবৃতি ও রিপোর্টে বিকৃত তথ্য পেশ করে চলেছে ইউএসসিআইআরএফ। এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র সংগঠনটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে।'
মার্কিন কংগ্রেসে এক ভার্চুয়াল বক্তৃকায় ইউএসসিআইআরএফ কমিশনার অরুণিমা ভার্গব অভিযোগ করেছিলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা মেনে নিচ্ছেন ভারত সরকারের আধিকারিকরা। কোথাও আবার তাতে সামিলও হচ্ছেন। এর পরই জো-বাইডেন প্রশাসনকে ভারত-সহ একাধিক দেশের ওই তালিকা দেয়   ইউএসসিআইআরএফ। 


আরও পড়ুন:উদয়পুর কাণ্ডে বিজেপি সংযোগ! ছবি-সহ 'প্রমাণ' পেশ কংগ্রেসের, অনুপ্রবেশের চেষ্টা বলে ওড়াল বিজেপি