নয়াদিল্লি : আশঙ্কা বাড়িয়ে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের পেরোল কুড়ি হাজারের গণ্ডি। বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,



  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৫৭ জন।

  • গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৫২৮ জন।

  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।

  • গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৫।

  • এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৮২৫ জনের।

  • মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৩ হাজার ৬১৯।

  • এর পাশাপাশি, দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৫৪।

  • অন্যদিকে ২০০ কোটি ছাড়াল দেশব্যাপী ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার সংখ্যা। 







সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ে (Fourth Wave) সমস্যা বাড়াচ্ছে করোনা পরবর্তী জটিলতা বা লং কোভিড (Long Covid)। দেখা দিচ্ছে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, অবসাদ, মনসংযোগে সমস্যার মতো নানা সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। ভিড় বাড়ছে পোস্ট কোভিড ক্লিনিকে। বাড়ছে করোনা। হাসপাতালগুলিতে ফের ICU’তে চাপ বাড়ছে। তাহলে কি ভারতে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে ? চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, অধিকাংশক্ষেত্রেই এবারের সংক্রমণ থেকে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতাগুলির মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে- ক্লান্তি, দীর্ঘদিন ধরে হালকা শ্বাসকষ্ট, মনোসংযোগের সমস্যা, নিদ্রাহীনতা বেড়ে যাওয়া, বুকে ব্যাথা, সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গেলে অসুবিধা, গাঁটের ব্যাথা, অবসাদ, মাঝে মাঝে জ্বর আসা, চোখ ও স্নায়ুর সমস্যা । এপ্রসঙ্গে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ঋষিকেশ কুমার বলছেন, কোভিডের পর স্নায়ুরোগের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পারকিনসন্সের সমস্যাও বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের পর করোনা পরবর্তী এই শারীরিক জটিলতা নজরে আসে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যা অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে করোনার থার্ড ওয়েভে করোনা পরবর্তী এই জটিলতা তেমন দেখা যায়নি। কিন্তু চতুর্থ ঢেউয়ের সময় ফের এই জটিলতাগুলি দেখা যাচ্ছে।