চণ্ডীগড়: ফের দুর্ঘটনার কবলে বায়ুসেনার মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। পঞ্জাবের মোগার কাছে এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাইলটের।
বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিয়মমাফিক উড়ানের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু, চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পাইলটের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছে বায়ুসেনা। একইসঙ্গে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, এই ঘটনার কোর্ট অফ এনক্যোয়ারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বায়ুসেনার মিগ-২১ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। সেক্ষেত্রে প্রাণে রক্ষা পান দুই পাইলট।
বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, নিয়মমাফিক উড়ানে বের হয়েছিল বিমানটি। দুই পাইলট-- একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও অপরজন স্কোয়াড্রন লিডার পদমর্যাদার-- দুজনই ভেঙে পড়ার আগেই বিমান থেকে লাফ দেন। দুজনকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তার আগে, মিগ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক বায়ুসেনার সঙ্গে মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটের সময় দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয় কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মিগ-২১ বিমান।
প্রসঙ্গত, চার দশক আগে দেশের বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল রুশ-নির্মিত মিগ বিমানগুলি। যদিও একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চলেছে বিমানগুলি। বর্তমানে একটিমাত্র স্কোয়াড্রন (১৭টি বিমান) অবশিষ্ট রয়েছে। আগামী ১-২ বছরের মধ্যে সবকটিকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা।
অন্যদিকে, গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রশিক্ষণ চলাকালীন আরব সাগরের উপর ভেঙে পড়ে ভারতীয় নৌসেনার মিগ-২৯ বিমান। ওই ঘটনার পর সেদিনই এক বিমান চালকের দেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন আরেকজন। ১১ দিন পর উদ্ধার হয় দ্বিতীয় চালকের দেহ।
তার আগে ২০১৯ সালে নভেম্বরে গোয়ার ডাবোলিমে রুটিন প্রশিক্ষণ চলাকালীন মিগ-২৯কে ভেঙে পড়েছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় ফের একই ঘটনা ঘটে। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই পাইলটদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তার আগে ২০১৮ সালে মিগ-২৯কে রানওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাণে বেঁচে যান পাইলট।