নয়াদিল্লি: করোনা পরবর্তী কালে অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও, যত দিন যাচ্ছে, নামতে নামতে তলানিতে গিয়ে পৌঁছচ্ছে ভারতীয় মুদ্রা (Indian Rupee)। ডলার প্রতি টাকার দামে ফের একবার সর্বকালীন পতন ঘটল (US Dollar)। বুধবার বাজার খোলার (Share Market_ সময় প্রতি ডলার পিছু টাকার দাম ৮১.৯৩-তে নামে। দ্রুতগতিতে ডলার প্রতি টাকার মূল্য ৮২ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
ডলার প্রতি টাকার দামে ফের রেকর্ড পতন
বুধবার বাজার খোলার সময় টাকার দাম আরও ৪০ পয়সা পড়ে যায়। এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ ডলার প্রতি টাকার দাম এসে ঠেকে ৮১.৯৩-তে। এর আগে কখনও এত নিচে নামেনি টাকা। মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৮১.৫৭৮৮। গতকাল যদিও নিচে নেমে ফের উঠে আসে টাকা।
গত সপ্তাহে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) তরফে তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার বাড়ানো হয়। তার পর থেকে টাকার দামে ২.২৫ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। চলতি বছরে, গত ন'মাসে ডলার প্রতি টাকার মূল্য কমেছে ৯.৭০ শতাংশ। এ বছর মার্চ মাসে প্রথম বার সুদের হার বাড়ায় আমেরিকা। তার পর থেকে টাকার মূল্যে ৭.১০ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: PFI Banned: দফায় দফায় তল্লাশি দেশ জুড়ে, দেশে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ PFI, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
গত ২১ সেপ্টেম্বর পর পর তৃতীয় বারের জন্য সুদের হারে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায় আমেরিকা, ২০০৮ সালের পর এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তাতে বিগত ২০ বছরে ডলারের দাম সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকেছে। আগামী দিনে সুদের হার আরও বাড়বে বলে আগাম জানিয়ে রেখেছে তারা। তাদের যুক্তি, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব আমেরিকার ভাঁড়ারেও টান পড়ছে। তাতেই সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। তার পর থেকে লাগাতার টাকার দামে পতন ঘটে চলেছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা
টাকার দামে এই পতনের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) ফের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ঋণদানের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।