সিমলা: লস্কর-যোগের অভিযোগে আইপিএস গ্রেফতার। জঙ্গি-যোগের অভিযোগে সিমলার এসপি গ্রেফতার। আইপিএস অরবিন্দ দিগ্বিজয় নেগিকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ভারতে লস্কর-ই-তৈবার জাল ছড়ানোয় যুক্ত থাকার অভিযোগ। একসময় এনআইএ-র অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন নেগি। এনআইএ-র গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ এনআইএ-র। 


উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গি-দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পায় পুলিশ। ১১ জনকে গ্রেফতার করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের দুটি জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান যে, হাতিয়ার ও গোলাবারুদ সহ বেশ কিছু আপত্তিকর সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ অনন্তনাগের শ্রীগুফওয়াড়, বিজবেহরা এলাকা ও অন্যান্য স্থানে গড়ে ওঠা চৌকিগুলিতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ছক কষেছে।


পুলিশের মুখপাত্র জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারা গিয়েছে যে, তারা জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য এবং পাকিস্তানে থাকা পাণ্ডাদের সঙ্গে তাদের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাদের নির্দেশেই তারা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ছক কষেছিল। পুলিশের এই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, বিজবেহরা এলাকায় ছয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করে অন্য এক জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস করেছিল।


উল্লেখ্য, এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় মাদক দ্রব্য-জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস করা হয়েছিল। এই ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ১৮ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, বসগ্রানের দিকে দাচি এলাকায় টহলদারির সময়  দাচি-গামী সড়কে দুটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের।  দুটি গাড়ির চালকও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের আটক করা হয়।  ধৃত দুজন হল উরির জওদা কমালকোট তহসিলের বাসিন্দা মহম্মদ সাবির- বরওয়াল ও সোপোরের রেওয়ান সাফিয়াবাদ। পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি থেকে তিন ও অন্য গাড়ি থেকে পাঁচ প্যাকেট হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে আটটি প্যাকেট থেকে প্রায় নয় কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কালো বাজারে এই নিষিদ্ধ সামগ্রীর মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা।