নয়াদিল্লি: চায়ে পে চর্চা! মোদি সরকারের অন্যতম সফল স্লোগান! কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সেই শব্দবন্ধই ব্যবহার করলেন তৃণমূল নেত্রী।


সনিয়া-মমতার ‘চায়ে পে চর্চা’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির সফরসূচি অনুযায়ী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় ১০ জনপথে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী। বিধানসভা ভোটে বামদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বৈরিতা ভুলে ফের কাছাকাছি আসতে চলেছে দু’পক্ষ।


মঙ্গলবার দুপুরে, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শৰ্মা এবং সন্ধেয় কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙভির সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথ বলেন, ‘২৪-এর রণকৌশল নিয়ে কোনও কথা হয়নি, তা সনিয়ার সঙ্গে হবে, তবে মমতার মধ্যে বিজেপিকে পরাজিত করার ক্ষমতা আছে।’


আটের দশকে রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান। তারপর অবশ্য গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল তৈরি করে, আজ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মোদি বিরোধী অন্যতম প্রধান মুখ মমতা। এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ দিল্লিতে শেষবার মুখোমুখি হন সনিয়া-মমতা। এবারের বৈঠকের আগে তৃণমূল নেত্রীর গলায় বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের ডাক।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই কোভিড পরিস্থিতিতে একসঙ্গে বৈঠকে অসুবিধা আছে, সামনে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, ত্রিপুরার ভোট আছে। এখন থেকেই জোট করতে হবে।’ অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'শূন্যকে শূন্য দিয়ে গুণ করলে শূন্যই হয়, কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে, ওদের গেল কি গেল না, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না।'


রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ৪২ টা আসনের বাইরে মমতার কিচ্ছু নেই। উল্লেখ্য, সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনে তৃণমূলের সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা হতে পারে, NCP প্রধান শরদ পাওয়ার ও শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও।