শ্রীনগর: জঙ্গি হামলায় (Terror Attack) ফের রক্তাক্ত উপত্যকা (Jammu And Kashmir)। কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত দুই যুব (Kashmiri Pandits)। ফলের বাগানে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হল। জঙ্গিদের গুলিতে জখম তাঁর ভাই। হামলার পর এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। 

 

কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা, আপেল বাগানে নির্বিচারে গুলি

 

জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার ছোটিপোরা এলাকায় অবস্থিত একটি আপেলবাগানে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সেখআনে নিরীহ বাসিন্দাদের দেখে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। খবরে পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বিরাট বাহিনী নামিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এাকায়। জঙ্গিদের খোঁজে চিরুণি তল্লাশি চলছে। নিহত যুবকককে সুনীল কুমার নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর ভাই পিন্টু কুমার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 







 

হামলার পর এ দিন কাশ্মীর পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, "শোপিয়ানের একটি আপেল বাগানে নিরীহ নাগরিকদের উপর গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও একজন। দু'জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। আরও তথ্য এলে, বিশদ জানানো হবে।"

 

বিগত কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে নাশকতামূলক ঘটনা বেড়েছে। মূলত কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং সংখ্যালঘুদেরই নিশানা করে নাশকতা চালানো হচ্ছে সেখানে। তাতেই নয়া সংযোজন শোপিয়ানের এই ঘটনা। মাস তিনেক আগে বদগামে সরকারি কর্মী, এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে উপত্যকার পরিস্থিতি। বিক্ষোভে নামেন কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষজন। উপত্যকা ছাড়তেও শুরু করেন অনেকে।

 

গত কয়েক মাসে কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের নিশানা করে একাধিক বার হামলা

 

তার আগে, গত বছর অক্টোবর মাসে পর পর পাঁচ দিনে জঙ্গিদের হাতে নিহত হন সাত জন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত, একজন শিখ এবং দু'জন হিন্দু পরিযায়ী শ্রমিক। তার আগে, গত বছর মে মাসে বদগামে তেহসিলদারের অফিসে ঢুকে কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাতে কেন্দ্রের উপর ফুঁসে ওঠেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সরকার বিরোধী স্লোগান তোলেন।