নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দিল্লির একটি আদালত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে আগামী ১৫ মার্চ হাজিরার জন্য সমন পাঠাল দিল্লির একটি আদালত। এই মামলায় গত বছরই চার্জশিট দায়েরের অনুমতি পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কানহাইয়া কুমার ছাড়াও এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও সমন পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬-র ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদে হামলায় দোষী আফজল গুরুর বার্ষিকীতে কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল।
কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বান ভট্টাচার্য সহ নয় জনের বিরুদ্ধে দায়ের চার্জশিটের পরিপ্রেক্ষিতে পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক ড. পঙ্কজ শর্মা বলেছেন, গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি পুলিশকে স্বরাষ্ট্র বিভাগ চার্জশিট দায়েরের অনুমতি দিয়েছিল। চার্জশিটের কথা মাথায় রেখে সমস্ত অভিযুক্তদের ১৫ মার্চ হাজিরার জন্য সমন জারি করা হয়েছে।
কানহাইয়া সহ এই মামলায় সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ, ৩২৩,৪৬৫, ৪৭১, ১৪৩, ১৪৯, ১৪৭, ১২০ বি ধারায় চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে।
২০১৬-র ৯ ফেব্রুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্লোগানের ভিডিও সামনে এসেছিল। এই মামলায় জেএনইউ ছাত্র সংসদের তৎকালীন সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে এমন অনেক তথ্য ও সাক্ষ্য রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে স্লোগান যাঁরা তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কানহাইয়া কুমারও। এরই ভিত্তিতে পুলিশ যখন চার্জশিট দায়ের করে তখন কানহাইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারায় চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কানহাইয়া কুমার ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। বিহারের বেগুসরাই আসন থেকে সিপিআই প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। যদিও ফলাফলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে যান তিনি। বিজেপির গিরিরাজ সিংহ তাঁকে হারিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, কানহাইয়া প্রার্থী হওয়ায় ওই আসন তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছিলেন আরজেডি-র তনবীর হাসান।