নয়াদিল্লি: আশঙ্কা ছিলই। দীপাবলির আগে ফের ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi Smog)। রবিবার, ছুটির দিন কার্যত অন্ধাকারেই ঘুম ভাঙল দিল্লিবাসীর (Delhi Pollution)। এ দিন সকালেই দিল্লির বাতাস ‘ক্ষতিকর’ বলে গন্য হয়েছে (Air Quality)।
দীপাবলির আগেই ধোঁয়াশায় ঢাকল দিল্লি
সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর) জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় বাতাসের গুণমান সূচকে দিল্লির বাতাসের মান ছিল ২৫১, যা ‘ক্ষতিকর’ বলেই বিবেচিত হয়। এ দিন সকালে পূর্ব দিল্লিতে, অক্ষরধাম মন্দিরের কাছে দৃশ্যমানতা একেবারেই কম ছিল। ধোঁয়াশার মধ্যে মন্থর গতিতে এগোয় যানবাহন।
গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান লাগাতার নিচের দিকে যাচ্ছিল। শনিবার সন্ধেয় সামগ্রিক ভাবে দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ২৬৬। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের গুণমান ছিল ৩২৭, যা ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ হিসেবে গন্য হয়।
বাতাসের গুণমান ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা আদর্শ বলে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে হলে ধরা হয় সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে থাকলে ধরা হয় মোটামুটি। ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে ক্ষতিকর, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে থাকলে অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে গুরুতর বলে ধরা হয়।
দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই গতকাল জানান, আসন্ন শীতে বাতাসের গুণমানের উন্নতির জন্য ১৫ দফার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। দূষণ প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী দিল্লি সরকার। ধুলো, ফসলের গোড়া পোড়ানো, বাজির তাণ্ডবের উপর তাই বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।
দীপাবলিতে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ, জেলও হতে পারে
এর আগে, দিল্লি সরকার জানায়, দিল্লির বায়ু দূষণের ৩৯ শতাংশের উৎসই রাজধানীতে। রাজধানী সংলগ্ন এলাকা দায়ী বাকি অংশের জন্য। আপাতত দীপাবলিতে দিল্লিতে বাজির উৎপাদন, মজদুত, বিক্রি এবং ফাটানো, সবকিছুই নিষিদ্ধ। নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানার পাশাপাশি জেল পর্যন্ত হতে পারে। দিল্লির দূষণে পড়শি রাজ্য পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থান থেকে আগত ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়াও অনেকাংশেই দায়ী। তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও কম হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি দিল্লির।