বেঙ্গালুরু: এখনই অতিবৃষ্টি থেকে মুক্তি নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই মতোই লাগাতার ভারী বর্ষণ চলছে প্রযুক্তি শহর বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru Waterlogged)। তাতে জলমগ্ন শহরের অবস্থার আবনতি হল আরও।  কর্নাটকের দক্ষিণের শহরগুলির অধিকাংশই এখনও জলমগ্ন। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগ জনক। শহরের অভিজাত এলাকাগুলিতেও জল ঢুকে পড়েছে (Karnataka Heavy Rainfall)। দামি, বিলাসবহুল গাড়ির ভিতর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছে ঘোলা জল। এমনকি কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ভিলাগুলিরও জল থৈ থৈ অবস্থা (Bengaluru Flood Situation)। 


আরও ক’দিন অতিবৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর


বেঙ্গালুরুর অভিজাত ইয়ামালুর এলাকা থেকে এমনই ছবি সামনে এসেছে। সেখানে এক একটি ভিলার দাম প্রায় ৭ থেকে ১০ কোটি টাকা করে। তার ভিতরেও ঢুেক পড়েছে ঘোলা জল। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, দামি আসবাবে সজ্জিত একটি ভিলার ড্রয়িং রুমে জল থৈ থৈ করছে। হিন্দুস্তান এ্যারোনটিকস লিমিটেড বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ওই ভিলাগুলিতে বিত্তশালীরা থাকেন। সেখানেও তাঁরা কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। 



এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে, নৌকো এবং ট্র্য়াক্টরে চাপিয়ে মানুষজনকে অন্যত্র সরানোর ছবি উঠে এসেছে। ম্যাটাডোরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চাপিয়ে আপাতত অন্যত্র সরে যেতেও দেখা গিয়েছে অনেক মানুষকে। বাড়ির উপরের তলা থেকে মই দিয়ে মানুষকে নামিয়ে আনা হচ্ছে কোথাও কোথাও।


আরও পড়ুন:  Bengaluru Flood Update: সব জায়গায় বন্যা নয়, 'স্বাভাবিক' বেঙ্গালুরুর ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত চার দিনে বেঙ্গালুরুতে ২৫১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রবিবারই ১৩১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, বিগত ৩৪ বছরে সেপ্টেম্বর মাসে একদিনে এমন বৃষ্টির নজির নেই গোটা কর্নাটক রাজ্যে।


বানভাসি পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ


তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুধু কর্নাটকই নয়, তামিলনাড়ু, লাক্ষাদ্বীপেও এ বছর অতিবৃষ্টি দেখা গিয়েছে। বেঙ্গালুরুর বানভাসি পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি,  নিকাশি পরিকল্পনা ছাড়াই নগরায়ন বেড়ে চলেছে। ইঁট গেঁথে একের পর এক নির্মাণ তুলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বুজে গিয়েছে। বেঙ্গালুরু পৌরসভার দাবি, ৫০০ নিকাশি খালও বেদখল হয়ে গিয়েছে। তাতে জল বেরনোর উপায় নেই।