বেঙ্গালুরু : হিজাব-বিতর্ক বড়সড় সঙ্কট তৈরি করেছে রাজ্যে। আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক স্তরে। এই পরিস্থিতিতে শাসকদল সহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। এদিকে এই মামলার আজ দুপুরে শুনানি রয়েছে কর্ণাটকের হাইকোর্টে। বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলা শুনবে।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল পোশাকের বিষয়টি তিন বিচারপতির বেঞ্চে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখা সকলের দায়িত্ব। এটা বাচ্চাদের সঙ্গে জড়িত বিষয়। তাই আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। আমাদের অনুভূতিশীল হতে হবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত নিক।


হিজাব বিতর্কে (Hijab Contovery) উত্তপ্ত কর্ণাটক (Karnataka)। বিক্ষোভ-বিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। এর মাঝেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেওয়া হয় পদক্ষেপ। আগামী দু-সপ্তাহের জন্য রাজধানী বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সমস্ত শিক্ষাঙ্গনে সব ধরণের জমায়েতে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাই বোম্মাই (Basavraj Bommbai) জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। কর্ণাটকের বেশ কয়েকটি জায়গায় হিজাব পরা ছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনা সামনে আসতে শুরু করার পরই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এদিকে, কর্ণাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court) দায়ের হওয়া হিজাব মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে।


আরও পড়ুন ; বিক্ষোভের নিন্দা, হিজাব-বিতর্কে মুসকানের পাশে আরএসএসের মুসলিম শাখা


গত জানুয়ারি মাসে হিজাব ঘিরে বিতর্ক চরমে ওঠে। উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরিহিত ছয় মেয়েকে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণপন্থী সংগঠনের তরফে এই দাবি ওঠে বলে অভিযোগ করেন হেনস্থার শিকার ওই মেয়েরা। চলতি মাসের শুরুতে নতুন করে সেই বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ে। উদুপি এবং চিকমাগালুরুর দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে স্কুল-কলেজে ঢোকায় আপত্তি তোলে। বিবাদ এতটাই চরমে পৌঁছয় যে, মুসলিম মেয়েদের হিজাবের পাল্টা শুক্রবার গেরুয়া ওড়না পরে কলেজে আসতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে সেখানে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের টপকে কলেজের ফটকে গেরুয়া পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বচসা থেকে পরস্পরকে লক্ষ্য করে চলে পাথর ছোড়াছুড়ি।