শ্রীনগর: ভূস্বর্গে ফের রক্তপাত ঘটল। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) নিশানা করে আরও এক হামলা (Terrorist Attack)। তাতে জঙ্গিদের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি (Jammu And Kashmir)। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তিকে বাড়ির কাছেই গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আততায়ী জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এলাকা খালি করে শুরু হয়েছে জঙ্গিবিরোধী অভিযান। 


উপত্যকায় ফের জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরি পণ্ডিত


জম্মু ও কাশ্মীরের দক্ষিণের শোপিয়ান জেলার চৌধরি গণ্ড এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার পূর্ণকৃষ্ণ ভাট নামের এক ব্য়ক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিজের বাড়ি থেকে কয়েক হাত দূরেই গুলিবিদ্ধ হন ওই ব্যক্তি। পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা মিলে তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে শোপিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 


এই ঘটনার পরই গোটা এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়, 'বাগানে যাওয়ার সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিক শ্রী পূর্ণকৃষ্ণ ভাটকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে মারা যান তিনি। গোটা এলাকা খালি করা হয়েছে। তল্লাশি চলছে জঙ্গিদের খোঁজে'।


আরও পড়়ুন: Global Hunger Index: দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ হিসেব, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের পরিসংখ্যান খারিজ করল কেন্দ্র


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণকৃষ্ণের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর কিশোর ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠরত। তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, খুব একটা বাড়ি থেকে বেরোতেন না পূর্ণকৃষ্ণ। বাড়িতেই নিজের কাজে মগ্ন থাকতেন। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেও জানান তিনি। 


কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে










বিগত কয়েক মাসে কাশ্মীরে সংখ্যালঘু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করে হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এই শোপিয়ানেই আপেল বাগানে গত ১৬ অগাস্ট এক কাশ্মীরি পণ্ডিত ব্যক্তিকে গুলি ছুড়ে খুন করে জঙ্গিরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন ওই ব্যক্তির ভাই। নিহত ব্যক্তির নাম  সুনীল কুমার। তাঁর ভাই পিন্টু কুমার। সে বার খুনের দায় স্বীকার করে 'কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স' নামের 'আল বদর' সংগঠনের একটি শাখা। স্বাধীনতা দিবসে উপত্যকায় তিরঙ্গা যাত্রায় শামিল হওয়াতেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করা হয়েছে বলে সে বার জানায় ওই সংগঠন।